হাটহাজারীতে কাল কী ঘটেছিলো?
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ২১ ২০১৯, ১৪:৩৬
জাকারিয়া নোমান ফয়জী
ভোলার ঘটনার খবর আসার পর থেকে মুলত হাটহাজারী মাদ্রাসা ও এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। চারিদিক থেকে মিছিল করার চাপ আসছিলো। বিকাল ৪ টায় হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয় আমরা তৎক্ষণাৎ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করবো। কিন্তু বাদ আসর ছাত্র ও তৌহিদি জনতা নিজ উদ্যোগেই বের হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী শাখার নেতৃবৃন্দ তাদের রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করে ও ব্যর্থ হয়।
উত্তেজিত ছাত্র ও তৌহিদি জনতা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এরই মধ্যে আমরা (নেতৃবৃন্দ) একটা মাইক যোগাড় করে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করি, যাতে তৌহিদি জনতা শান্ত হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে হাটহাজারী বাস-স্টেশন পর্যন্ত অবরোধ বিস্তৃতি লাভ করে। কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা মাদ্রাসা সংলগ্ন মন্দিরে হামলা করার বার বার চেষ্টা করলেও মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতিরোধে তা ব্যর্থ হয়। পরে অবরোধ চলাকালে ছাত্ররা মন্দিরের গেইটে পাহারা বসায়।
একপর্যায়ে কিছু বহিরাগত অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে থানার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। বাহির থেকে কিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার চেষ্টা করে। পরবর্তী হেফাজতে ইসলাম নেতারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা রাস্তায় মাগরিবের নামাজ আদায় করে। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধ করার পর ছাত্র কায়েদে দ্বীন ও মিল্লাত বিশ্বখ্যাত শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর আহ্বানে ছাত্ররা মাদরাসায় আর জনতা তাদের বাড়িতে ফিরতে থাকে।
এদিকে মাদ্রাসায় ফিরে ছাত্ররা হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি ঘোষণা করার দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকে। মাদ্রাসায় শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সান্ত্বনামূলক বক্তব্য দিয়ে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। রাত ৮ টা নাগাদ মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
ঘটনা চলাকালে দুই ছাত্র আহত হয়, এবং পুলিশ সম্পূর্ণ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। এই বিবরণের বাইরে কোন গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখা।