হলবিহীন জবির মেসগুলোতে রমরমা ব্যবসা ও সিনিয়রদের অত্যাচার

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১৮ ২০২০, ১২:৩৬

জবি প্রতিনিধিঃ প্রতিষ্ঠার দেড় দশক পার হলেও এখনো হলের মুখ দেখেনি জবি শিক্ষার্থীরা। জ্যাম ঠেলে পুরাণ ঢাকায় আসাটা কষ্টকর ও সময়সাধ্য বিধায় বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে পুরাণ ঢাকায়। ঠিক সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কতিপয় অসাধু বাড়িওয়ালা ও জবির সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। তুলনামূলক বেশি ভাড়া ও এডভান্স নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশিরভাগই থাকেন পুরাণ ঢাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মেস করে। আবাসন সংকটের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের উপর নানা রকম অত্যাচার করা হচ্ছে প্রতিদিনই। পুরান ঢাকায় অধিকাংশ এলাকার ভবনগুলো রংচটা, পলেস্তার উঠা, জরাজীর্ণ। ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আছে একটির গায়ে অন্যটি। নিচতলায় লোহালক্কড়ের কারখানা, চিপা গলি, অন্ধকার সিঁড়ি এখানকার চেনা চিত্র। এমন পরিবেশের সঙ্গে কেবল লেখাপড়ার জন্যই প্রতিনিয়ত লড়াই করে থাকতে হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের।

কিন্তু মেস ব্যাবসার কারণে তাদের জীবন অতিষ্ঠ প্রায়৷ অধিকাংশ বাড়িতে বাড়ির আসল ভাড়া জুনিয়র দের জানানো হয় না। সেক্ষেত্রে সিনিয়ররা জুনিয়র দের কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া থেকে কমপক্ষে ৫-৬ হাজার টাকা বেশি আদায় করে। তাদের কাছে আসল ভাড়া জানতে চাইলে তারা নানা রকম হুমকি দিয়ে থাকে। নবীন শিক্ষার্থী দের সেক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। অসাধু বাড়িওয়ালারা নিজেদের স্বার্থে বিপুল পরিমানে এডভান্স টাকা হাতিয়ে নেয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এই বিষয়ে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোন তদারকিও। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের যখন তখন পূর্ব নির্দেশিত কোন নোটিশ ছাড়া বাসা ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাড়িভাড়া সম্পর্কে আমাদের প্রথমে জানানো হয় নি,ধরা বাধা একটি এমাউন্ট আমাদের কে বলা হয়েছে। ঘটনাক্রমে বাড়ির দারোয়ানের কাছ থেকে জানতে পেরেছি বাড়ির আসল ভাড়া থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি আদায় করে সিনিয়র রা।কথা বলতে গেলে নানা রকম হুমকি দেয় তারা।

মেস ব্যাবসা সম্পর্কে আরেক শিক্ষার্থী তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, অসুস্থ থাকায় নিজের মাকে আনতে চেয়েছিলাম বলে সিনিয়র তার মায়ের থাকার জন্য প্রতিদিন ২০০ টাকা এডভান্স প্রদান করতে বলে এবং টাকা না দিলে মাকে আনতে না বলে।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন বাড়িওলারা বিনা নোটিশ গ্যাস বিল/ বিদ্যুৎ বিল/পানি বিল /বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে বলে না পোষালে বাসা ছেড়ে দিতে হবে। বাধ্য হয়ে আমাদের সেখানে থাকতে হয়। আর যারা বাসা ভাড়া নেয় তারা থাকে ফ্রী তে!

এবিষয়ে জবি প্রক্টর বলেন,যারা এইসব নিচু মানের ব্যাবসার সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হলে অবশই তাদের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।মালিকরা খারাপ আচরন করলেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।