হত্যার ১০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি ধন মেম্বার

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ১৬ ২০২০, ২৩:১৭

সিলেটের ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নেরর ইশাগ্রাই গ্রামে চাঞ্চল্যকর শিপন হত্যার ১০দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের মূল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি জয়নুল হক ধন মেম্বার এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

পুলিশ বলছে ঘটনার পর থেকে ধন মেম্বার পলাতক থাকার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অতি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সিলেটসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনের আওতায় থাকায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি ধন মেম্বারসহ মামলার অন্যা অসামিরা সিলেটের বাইরে না যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও গত ১০ দিনে পুলিশ কেনো ধন মেম্বারকে খুঁজে পাচ্ছে না, এটা নিয়ে বাদী পক্ষসহ এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

নিহত শিপনের বড় ভাই ও মামলার বাদী রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন কয়েকজন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি ধন মেম্বার সহ অন্য আসামিদের কেনো পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলতে পারছিনা। ধন মেম্বার আমার ভাইকে হত্যা করার আগে একাধিকবার হুমকি ধামকি দিয়েছিল। স্থানীয় এমপিসহ অনেক বড় বড় লোক নাকি তার আত্মীয়। তাদের মাধ্যমে আমাদের উপর হামলা মামলা করাবে। আমি অসুস্থ, শনিবার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানবো কেনো তারা ধন মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না।

এদিকে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, শিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ধন মেম্বারের কতিপয় কয়েকজন প্রভাবশালী আত্মীয়ের সাথে ওসমানীনগর থানার কয়েকজন পুলিশ অফিসারের সখ্য থাকার কারণে ধন মেম্বার ধরা পড়ছে না। পুলিশ অভিযানে যাবার আগেই আসামি পক্ষ খবর পেয়ে যাচ্ছে।

তবে এ বিষয়টি প্রত্যাখান করে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক বলেন, কার সাথে কার সম্পর্ক রয়েছে সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমাদের পুলিশের কারোর সাথে আসামি পক্ষের কোনো সখ্য অথবা যোগাযোগ থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রধান আসামি ধন মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হব আমরা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ই মে ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত দরছ উল্যার ছেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়নুল হক ধন মিয়ার ছুলফির আঘাতে প্রতিপক্ষ আলীক মিয়ার মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া(২৪) গুরুত আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে গেলে রাত সাগে সাতটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের পর দিন নিহত শিপনের বড় ভাই রিপন মিয়া বাদি হয়ে ধন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে মোট ২৭জনের নামে ওসমানীনগর থানায় মামলা হত্যা দায়ের করে