সূর্যমুখী ফুলে লাভের আশা কুড়িগ্রামের চাষীদের
একুশে জার্নাল ডটকম
মার্চ ১৬ ২০২২, ১৮:১১

রোকন সরকার, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সূর্য মূখী ফুলের চাষ।উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের বাছড়ার মল্লিককবেগ (কুটি পাড়া) গ্রামের নুর আলম সরকার এ বছর প্রথম ৭০ শতক জমিতে সূর্য মূখী ফুলের চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন এতে সারা বছর ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরন করে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবেন।
১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী তেল জাতীয় ফসল হিসেবে এদেশে চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, দিনাজপুর প্রভৃতি জেলায় ব্যপকহারে এর চাষ হচ্ছে। এর তেল কোলেস্টেরল মুক্ত হওয়ায় ভোজ্য তেল হিসেবে চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভের পরিমান অনেক বেশি। সূর্যমুখীর বীজ একদিকে তেলের চাহিদা পুরন করছে। অন্য দিকে গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। লাভবান হচ্ছেন কৃষক সহ সাধারন মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। আশানরুপ ফলনের সম্ভবনায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। নাজিমখাঁন ইউনিয়নের বাছড়ার মল্লিককবেগ (কুটি পাড়া) গ্রামের নুর আলম সরকার এ বছর প্রথম ৭০ শতক জমিতে সূর্য মূখী ফুলের চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন এতে সারা বছর ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরন করে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবেন। আগামীতে তিনি বড় আকারে প্রজেক্ট করে সূর্যমূখী ফুলের চাষ করবেন বলে জানান । উপজেলার মুসরুত নাখেন্দা গ্রামের আদর্শ কৃষক অশ্বিনি কুমার গত বছর সূর্যমূখী চাষ করেছেন এবারেও লাভের আশায় প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন। তার মোট খরচ হবে সব মিলে ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। খরচ বাদে ২০/২৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।
নয়নাভিরাম সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত গুলো ঘুরে দেখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনিম,একাডেমিক সুপারভাইজার আয়শা সিদ্দিকা,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হৈমন্তীরানী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কমৃকর্তা সম্পা আকতার বলেন উপজেলায় চলতি বছরে ১৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ হয়েছে।আগামী বছরে ব্যাপক হারে সূর্যমূখী ফুলের চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।