সীতাকুণ্ডে হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ১৬ ২০২০, ১৯:৫০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জলাবদ্ধতাসহ নানামুখী সমস্যায় কৃষিজীবি মানুষরা এবং হিমাগার না থাকা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

সীতাকুণ্ড ‘সবজিজোন’ হলেও এখানে কোনো (কোল্ডস্টোরেজ) হিমাগার না থাকা বড়ই দুর্ভাগ্যের বিষয়। সরকারিভাবে না হলেও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে হলেও সীতাকুণ্ডে একটি হিমাগার স্থাপন করা কঠিন কোনো বিষয় নয়।

এই নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও কম হয়নি কিন্তু কে শোনে কার কথা। এখানের জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন শিল্পকারখানার মালিকদের সহায়তায় একটি হিমাগার স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পারে মনে করেন সীতাকুণ্ড কৃষকজীবি মানুষরা।

সীতাকুণ্ডে হিমাগার না থাকায় কৃষক ও জেলেসম্প্রদায় তাদের শাকসবজি (শিম,টমেটো,ঢেড়শ ইত্যাদি),মাছসহ পচনশীল দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ক্রেতাদের মনগড়া মুল্যে (পানির দরে)কষ্টার্জিত তরিতরকারি ও মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

এ বছর করোনা দুর্যোগের কারণে সীতাকুণ্ডের ৩৭০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত টমাটো ক্ষেতেই পচেগলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।যদি এই সময়ে হিমাগার থাকতো কৃষকেরা এ টমাটো সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করতে পারতো কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতো না বলে দাবি করেন উপজেলার কৃষকরা।

তবে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগনেতা মোস্তফা কামাল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সীতাকুণ্ডে কোল্ডস্টোরেজ এর প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করে ইতোমধ্যে আমি কৃষিমন্ত্রণালয়ের খামারবাড়ির কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছি।

সীতাকুণ্ডে হিমাগার স্থাপনের জন্যে জমি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে একটি চিঠিও সম্প্রতি সীতাকুণ্ড ইউএনও বরাবরে পাঠানো হয়েছে বলে জানাযায়।

মো: মামুনুর রশিদ মাহিন/ একুশে জার্নাল