সীতাকুণ্ডে হাফিজজুট মিল শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবীতে মানববন্ধন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২৫ ২০২০, ১৯:২১

মোঃ মামুনুর রশিদ মাহিন, সীতাকুণ্ড(চট্রগ্রাম)প্রতিনিধি:

চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন,বারআউলিয়া অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল হাফিজ জুট মিলস,বকেয়া বেতন ও সকল পাওনা ঈদের আগে বোনাস বুঝিয়ে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিকরা।

শনিবার (২৫ জুলাই) উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পযন্ত এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তরা বলেন, সরকার সারাদেশের ২৫ টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।তার আগে শ্রমিকদের সকল পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের পাওনা বুঝে পায়নি। অন্যদিকে আর কয়েকদিন পর ঈদ-উল-আযহা, অথচ ন্যায্য পাওনার কোন খবর নেই।

এসময় বক্তারা বলেন, একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে হঠাৎ করে মিল বন্ধ করায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

শ্রমিকদের দাবীর মধ্যে আছে ২৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বদলী, অস্থায়ী, দৈনিক ভিত্তিক ও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের সাধারণ ছুটির মজুরী প্রদান। মজুরী কমিশন ২০১৫ অনুযায়ী বদলী, অস্থায়ী, দৈনিক ভিত্তিক ও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের গ্রেড ভিত্তিক মূল মুজরী অনুযায়ী বোনাস প্রদান করা। সকল বকেয়া সপ্তাহের মজুরী ঈদের বন্ধের আগে প্রদান করা। স্থায়ী শ্রমিকদের ন্যায় বদলী, অস্থায়ী, দৈনিক ভিত্তিক ও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান এবং মজুরী কমিশন ২০১৫ চালু হওয়ার পূর্বের প্রাপ্য বকেয়া মজুরী এরিয়ার প্রদান করতে হবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ পাটকল জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা ও হাফিজ জুট মিল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমসহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এতে বক্তারা ঈদের আগে বোনাস, বকেয়া বেতনসহ সকল পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী জানান।মানববন্ধন শেষে একটি বিশাল মিছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শ্রমিকদের এই মানববন্ধনকে ঘিরে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে হাফিজ জুট মিলস এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

এ সময় সীতাকুণ্ড সার্কেল এএসপি শম্পা রানী সাহা, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ইন্ড্রাস্টিরিয়াল পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।যেন কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।