মোঃ মামুনুর রশিদ মাহিন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: আজ শুক্রবার ( ২২ মে ২০) সকাল ১০টার দিকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ড উপজেলায় দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব গালিব চৌধুরী নেতৃত্বে সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ রাখতে,এই অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছেন।

এসময় উপজেলার বিভিন্ন মুদি দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য দ্রব বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ রাখার এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মোট ১৭টি মামলায় সতের জন দোকান মালিকে দোষী সাব্যস্ত করে তিপ্পান্ন হাজার একশত
(৫৩,১০০) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং তাৎক্ষণিক জরিমানার অর্থ আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় বিভিন্ন দোকানে ১৭টি বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাড়বকুণ্ড বাজারের দুইটি মুদি দোকানকে ৩০০০ টাকা করে মোট ৬০০০ টাকা,মাদামবিবির হাটের একটি মুদি দোকানকে ৩০০০ টাকা এবং দক্ষিণ ভাটিয়ারীর জলিল স্টেশনের দুইটি মুদি দোকানকে ৩০০০ টাকা করে মোট ৬০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এসব দোকানকে মূল্য তালিকা না থাকা, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করাসহ বিভিন্ন অপরাধে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় সীতাকুণ্ড পৌর বাজারের জিয়া ক্লথ স্টোরকে ১০০০০ টাকা, তানিশা ফ্যাশনকে ৭০০০ টাকা ও স্মার্ট জেন্টস পার্লার এন্ড এসি সেলুনকে ৫০০০ টাকা, জোড়ামতল বাজারের মুন্নি সু এন্ড কসমেটিকসকে ২০০০ টাকা, মাদাম বিবির হাটের এবি হার্ডওয়ার এন্ড ক্লথ স্টোরকে ৫০০০ টাকা, নেভী রোডের কামাল ক্লথ স্টোরকে ২০০০ টাকা, ইয়াছিন ক্লথ স্টোরকে ১০০০ টাকা, রিমন স্টোরকে ১০০০ টাকা ও জুয়েল সেলুনকে ১০০০ টাকা, ভাটিয়ারী বাজারের খাজা কালু শাহ স্টোরকে ২০০০ টাকা ও নিহারিকা হেয়ার কাটিং সেলুনকে ২০০০ টাকা এবং জলিল স্টেশনের সৌরনীল বুটিকসকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এই বিশেষ অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিসট্রেট জনাব গালিব চৌধুরী সহযোগিতা করেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ।