সিলেটে রায়হান হত্যায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১৪ ২০২০, ১৭:৩২

সিলেটে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি পিবিআই তদন্ত করছে। তদন্তের পর এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

রায়হান হত্যার তদন্ত বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের ঘটনাটি তদন্তে রয়েছে। হাসপাতালে তার যে ময়নাতদন্ত হচ্ছে বা হবে এবং তার স্ত্রীর মামলা আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তদন্ত অনুযায়ী অবশ্যই যে দায়ী তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। পিবিআইকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে।’

ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই আইনটি পাস হয়েছে, আপনারা দেখেছেন এসিড নিক্ষেপ একটা রেগুলার প্র্যাকটিসের মতো হয়ে গিয়েছিলো সেই এসিড নিক্ষেপের ব্যাপারে আমরা যখন সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করলাম এবং ২/১টা রায়ও দিলাম তখন থেকে কিন্তু কমে গিয়েছিল। তো আমিও সেটাই মনে করি যে, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হোক এবং এটা কমে যাক এবং এই নির্যাতন থেকে নারীরা যেন মুক্তি পাই সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

ভুক্তভোগীরা সঠিকভাবে বিচার পায় কি না সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আরও সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সিআইডি, পিবিআই তৈরি করেছি। যখন পুলিশ পারছে না তখন সেটা পিবিআইয়ের কাছে দিয়েছি সিআইডির কাছে দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন কতগুলো জটিল সমস্যার সমাধান করেছে সিআইডি ও পিবিআই।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো সবাই যেন সঠিক বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সেভাবেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের আইনব্যবস্থাও উন্নয়ন করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।’

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে গুজবের বিরুদ্ধে সরকার কাজ করছে। এসব গুজব তৈরি হয় সামাজিক অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য ও বাহিনীর ভেতর বিভ্রান্তি তৈরির জন্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে, যদিও সবসময় সহযোগিতা পাওয়া যায় না।’