সিলেটে যেসব কারনে ইলিয়াসপত্নী লোনা থেকে মুনতাসির আলীকে যোগ্য মনে করছেন ভোটাররা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ৩০ ২০১৮, ০১:৫৪

হোসাইন আহমেদ মিসবাহ: সিলেট-২ আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী তালিকায় শীর্ষে আছেন খেলাফত মজলিসের মুনতাসির আলী ও বিএনপির তাহসিনা রুশদি লোনা। কারো দৃষ্টিতে ভোটযুদ্ধে এই আসনে দুজন সমান, কারো মতে মুনতাসির আলী এগিয়ে, আবার কেউ এগিয়ে রাখছেন লোনাকে।
আজকের (১৯ নভেম্বর) জাতীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’ বলেছে, “লোনার পথের কাটা মুনতাসির আলী”। হয়তো কালকের কোন জাতীয় দৈনিক বলবে, “মুনতাসির আলীর পথের কাটা লোনা”। বাহ্যত দুজনকে প্রায় সমান দেখা গেলাও, বাস্তবে দুজন সমান নয়। সমতার অন্তরালে হবে অসম লড়াই।
তাই এই আসনে মুনতাসির আলী ও লোনার সামগ্রিক অবস্থান নিয়েই এই প্রয়াস।

১. মুনতাসির আলী স্বমহিমায় বিকশিত। অপরদিকে লোনা অন্যের দ্বারা পরিচিত। মুনতাসির আলী নিজ যোগ্যতায় এই পর্যায়ে এসেছেন। লোনা এসেছেন সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী হওয়ার সুবাধে। যদি ইলিয়াস আলী নিখোজ না হতেন, তাহলে এই আসনের মানুষ হয়তো কোন দিন লোনার নামটিও জানতে পারতো না।
২. মুনতাসির আলীর রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। লোনা রাজনীতিতে সক্রিয় হন অনেক পরে। যখন বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথের ওয়ালে ওয়ালে “মুনতাসির আলীকে এমপি চাই” লেখা চোখে পড়তো, তখন লোনাকে এই আসনের, ইলিয়াস আলী সংশ্লিষ্টরা ছাড়া কেউ চিনতেনই না। তিনি ছিলেন এই আসনের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে।
৩. দীর্ঘ দিন রাজনীতির ফলে এই আসনের মাটি ও মানুষের সাথে রয়েছে মুনতাসির আলীর গভীর মিতালী। আর লোনা সবেমাত্র পরিচিত হচ্ছেন বা পরিচিত করানো হচ্ছে।
৪. এই আসনের মানুষ তুলনামূলক ধার্মিক। নেতা হিসেবে তারা মহিলার উপর পুরুষকে প্রাধান্য দেয়। মুনতাসির আলী পুরুষ হলেও লোনা কিন্তু মহিলা।
৫. এই আসনের বিরাট একটি অংশ মাদরাসা শিক্ষিত। যারা নারী নেতৃত্বকে পছন্দ করেন না। পুরুষ থাকা অবস্থায় তারা নারীকে ভোট দেবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।
৬. মুনতাসির আলী হলেন, ইলিয়াস আলীর সমশ্রেণীর রাজনীতিবিদ। অপর দিকে সার্বিক ভাবে লোনা অবস্থান করছেন একধাপ নীচে।
তাই পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, গ্রহণযোগ্যতা, পারদর্শিতা সব দিক বিবেচনায় মুনতাসির আলী, লোনা থেকে অনেক এগিয়ে। সুতরাং এই আসনে একক প্রার্থী হিসেবে লোনা থেকে মুনতাসির আলীর সম্ভাবনাই বেশি। নির্বাচনের এখনো অনেক বাকী। দেখা যাক কোন দিকের বাতাস কোন দিকে যায়।