সিলেটে নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় নজরে রাখবে হাইকোর্ট। মরদেহ আবারও ময়নাতদন্ত নির্দেশ। আজ বুধবার এ সংক্রান্ত বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটে একথা বলেছেন হাইকোর্ট।

রিটটি দুই সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ড ওভার রেখেছে হাইকোর্ট। যেহেতু পিবিআই বিষয়টি তদন্ত করছে সেহেতু কি প্রতিবেদন আসে তা দেখবে হাইকোর্ট।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রায়হান আহমদ হত্যা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইতে) স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জ্যোতির্ময় সরকার নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।

তিনি জানান, সকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রায়হান আহমদের মৃত্যু ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা স্থানান্তর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পিবিআইতে। গত সোমবার রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কোতোয়ালি থানার সহকারি কমিশনার নির্মল চক্রবর্তী ও বিমানবন্দর থানার সহকারী কমিশনার প্রবাস কুমার সিংহ।

এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি জানতে পেরেছে রবিবার ভোর ৩টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রায়হান উদ্দিনকে আনা হয় বন্দরবাজার ফাঁড়িতে। সেখানে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়ার নেতৃত্বেই নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর । নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রায়হানকে নিয়ে যাওয়া হয় ওসমানী হাসপাতালে। সেখানে সকাল ৭টার দিকে মারা যান রায়হান। রায়হান নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের পূত্র। স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন তিনি।