সিলেটে পুলিশী হেফাজতে যুবকের মৃত্যু: খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অভিযুক্ত এসআই আকবরকে

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১৩ ২০২০, ১৯:০০

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর

লাপাত্তা সেই এসআই আকবর হোসেন ভুইয়া। সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর পালিয়েছেন নগরীর বন্দরবাজার এই ফাঁড়ি ইনচার্জ। এর আগে আকবরসহ ৪ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আকবরের নেতৃত্বে এই অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির ছিল। তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এলাকা না ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত রাত থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মূলত গ্রেফতার এড়াতেই সে পালিয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান চলছে।

কমিটির একটি সূত্র জানায়, সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ সে সময় দায়িত্বে থাকা ৭ পুলিশ সদস্যকে। ইনচার্জ আকবর প্রথমে রায়হানকে ফাঁড়িতে নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

পরে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটি। সেই ফুটেজ দেখানোর পর সবাই মুখ খুলতে শুরু করেন।

ফুটেজে শনিবার রাত ৩টা ৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে দেখা যায়, দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে এসে থামে। সামনের অটোরিকশা থেকে তিন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে রায়হানকে দেখা যায়। তিনি হেঁটে হেঁটেই পুলিশের সঙ্গে ফাঁড়িতে প্রবেশ করেন।

এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ৬টা ২২ মিনিটে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আসে বন্দর ফাঁড়ির সামনে। এর দুই মিনিট পর ৬টা ২৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে দুই পুলিশের কাঁধে ভর করে রায়হানকে সেই অটোরিকশায় তুলতে দেখা যায়।

ইনচার্জ আকবরসহ অন্যরা তদন্ত কমিটিকে জানান, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে দু’জন লোক সোবহানীঘাট থেকে কাস্টঘর রোড দিয়ে যাচ্ছিল। পথে সুইপার কলোনির গেটের পাশে তাদের আটক করে ছিনতাইকারীরা। চাকু দিয়ে টাউজারের পকেট কেটে তাদের টাকা-পয়সা নিয়ে পাশের সুইপার সুলাইলালের ঘরে ডুকে যায় তিন ছিনতাইকারী। এরপর ছিনতাইয়ের শিকার লোকজন মহাজনপট্টি দিয়ে বের হয়ে নগরীর বন্দরবাজারের মশরাফিয়া রেস্টুরেন্টে দুই পুলিশকে (কোতোয়ালি থানার মুন্সি ও এক অপারেটর) নাশতা করতে দেখে।

তারা পুলিশকে ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানায়। পুলিশ ইকো-১-কে মোবাইলে কল দিয়ে এ খবর জানায়। এরপর ইকো-১-এর ওয়্যারলেস অপারেটর কনস্টেবল আবু তাহের এএসআই আশিক এলাহীর টিমকে খবর পাঠায়