সিলেটের দয়ামীর টু দেওয়ানবাজারের রাস্তার বেহাল দশা দেখার কেউ নাই
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ১৫ ২০২০, ১৮:২৯

কে এম রায়হান: সিলেটের ওসমানীনগরে খানাখন্দে ভরার দয়ামীর-দেওয়ানবাজার সড়কের বেহাল দশার কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকারণ ধারণ করেছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্ট গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি আটকে ধারণ করেছে খালের রূপ। প্রতিদিন গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। গত কয়েক বছর ধরে সড়কে এমন অবস্থা থাকলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশার কারণ, দয়ামীর দেওয়ান বাজার সড়কে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। দয়ামীর থেকে আলিকা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং ও ভিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। খন্দগুলোতে পানি আটকে খালের রূপ ধারণ করেছে। এমন অবস্থায় সড়টি যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কের বড় বড় গর্তে পড়ে প্রতিদিন বিকল হচ্ছে যানবাহন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দয়ামীর থেকে আলিকা পর্যন্ত সড়কের স্থানে স্থানে রয়েছে বড় বড় গর্ত। গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় খালের রূপ ধারণ করেছে। পানি থাকার কারণে গর্ত গুলোর গভীরতা বুঝা যায় না। ইছামতি এলাকায় গর্তে পড়ে একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক আটকে পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন খানাখন্দে আটকাপড়া যাত্রীবহনকারী অটোরিকশাগুলো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে টেনে গাড়ি তুলতে দেখা যায়।
সিএনজি চালক আবুল মিয়া বলেন, ভাঙা সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদেও প্রতি দাবি জানান তিনি।
দয়ামীর অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সেবুল মিয়া বলেন, ট্রাক, অটোরিকশাসহ যে গাড়িই আসে গর্তে পড়ে আটকে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৫ টা গাড়ি গর্ত থেকে টেনে উদ্ধার করতে হয়। কখনো কখনো গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে।ওসমানীনগর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী নাজমুল করিম বলেন, ১কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের প্রাক অনুমতি হয়েছে এবং কাজের দরপত্র আহবানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।