দ্বিতীয় দফায় সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৭ ২০১৯, ২২:৫৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক সংগঠনটি। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ১১জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভববনের সামনে এ হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে হামলার বিষয় জানিয়ে ভিসি কাছে বিচার চাইতে যান ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান ও মাহফুজ খান ও তাদের সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এ সময় রাশেদের সাথে তার সংগঠনের ১১-১৩জন ছিলেন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ প্রায় ৩৫-৪০ জন এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সমাজবিজ্ঞার বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা ভিসির কাছে বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভিসি স্যারের বাস ভবনের সামনে গেলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা আমাদের মারধর করে। এতে আমাদের সবাই আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় আক্ষেপ জানিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নাম দিয়ে তারা একের পর এক হামলা-নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আসলে কার ইন্ধনে এসব করছেন এদের পিছনে কারা রয়েছে সেটি খুঁজে দেখা দরকার। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্বাদের নাম ব্যবহার করে এরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ভারতের বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িক বিভেদের নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ভারতীয়দের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করতে রাজু ভাস্কর্যে আসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ তাদের বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি আল মামুনের নেতৃত্বে নুরদের উপর হামলা চালায় সংগঠনটি। এতে নুরুল হক নুরের বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। এছাড়া ডাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এবং সিফাত নামে ঢাবির এক শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৮জন আহত হন।