সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্যও কাজ করে যাচ্ছে: মীর নাহিদ আহসান
একুশে জার্নাল ডটকম
নভেম্বর ০৮ ২০২০, ২২:৫৮
এম. এম আতিকুর রহমান: বর্তমান সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্যও বিশেষ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এজন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাগন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর, সংখ্যালঘু, আদিবাসীদের জন্য নয়। তিনি দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে জন্য কাজ করতে ভালবাসেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের এই প্রান্তিক জনপদে আমরা পৌঁছেছি।
আজ ৮ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের বড়লেখার সাত নং খাসিয়া পুঞ্জিতে আন্তর্জাতিক শিশু উন্নয়ন সংস্থা কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আয়োজনে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মীর নাহিদ আহসান এ কথাগুলো বলেন।
এ সময় তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা দেশের ভবিষ্যত, একদিন তোমরাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। তোমরা এই ভাইস চেয়ারম্যান, ইউএনও’র মতো এবং আরো বড় হবে। সেজন্য তোমাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর তখনই তোমাদেরকে যারা সাহায্য সহযোগিতা ও সাপোর্ট দিয়েছেন তাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। তিনি বলেন, মহামারী করোনাকালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও সংস্থা বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এই মহৎ উদ্যোগের জন্য তিনি কম্প্যাশনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কাজ শুরু হয়। এ সময় প্রকল্পের শিশু দেশাত্মবোধক নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী খাসি নৃত্যও পরিবেশন করে।প্রকল্প ব্যবস্থাপক টারজেন পাপাং এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের চেয়ারম্যান মি. প্রভীনসন সুছিয়াং।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম আল ইমরান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-অর্ডিনেটর জিডিসন প্রধান সুছিয়াং, খাসি সোস্যাল কাউন্সিলের সহ সভাপতি মি. ফিলা পঃথিমি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, লুমডনবক মিশনের পরিচালক মিসেস লাভলী সুছিয়াং, সিনিয়র পালক রেভারেন্ড পাইরিন সুটিং, খাসি সোস্যাল কাউন্সিলের প্রচার সম্পাদক সাজু মারছিয়াং প্রমূখ।
বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেটের মধ্যে ছিল, ১৪ কেজি চাল, ৪ কেজি আলু ১.৫ কেজি ডাল, ৫০০ গ্রাম সয়াবিন তেল, ২ টি করে মাস্ক , ২ টি করে সাবান ও ১ টি করে ব্যাগ।
সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শিশুদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে। যার ফলে শিশু ও তাদের পরিবার চরম দরিদ্র, নিরক্ষরতা, অপুষ্টি এবং বঞ্চনার সাথে লড়াই করেছেন তাদের সহায়তা করে থাকে। এই সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য হল-দারিদ্রতা থেকে শিশুদের মুক্তি নিশ্চিত করা, যা শিশুদের সামাজিক,নৈতিক, শারীরিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনে এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে করা সম্ভব। কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল ২০০৪ সাল থেকে পার্টনারশিপের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই সংস্থাটিতে সারাদেশে প্রায় ৩৮,৩৩২ জন নিবন্ধিত শিশু রয়েছে এবং বাংলাদেশে ৩৮টি জেলায় ১৭৪ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।