সরকারের দুর্বল নীতিতেই মিয়ানমারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বাড়ছে: মির্জা ফখরুল

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২২, ১৮:৩৪

সরকারের নতজানু ও দুর্বল কূটনীতির সুযোগেই মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে সীমান্তে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা ও সর্বশেষ নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গভীর আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারংবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের ১২০ মিটারের ভেতরে পড়ে তা বিস্ফোরিত হয়, যা সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ ও ২৬ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের গণহত্যার মুখে প্রাণ বাঁচাতে আট লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ মহা সংকটে রয়েছে, তার ওপর এখন নতুন করে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করছে মিয়ানমার বাহিনী। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে।

ফখরুল বলেন, এইদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়েও সীমান্ত হত্যা সংঘটিত হয়েছে। এ সময় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা (Territorial Integrity) রক্ষার্থে মেরুদণ্ড সোজা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসর মুহাম্মদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।