সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি ‘দিনে-দুপুরে ডাকাতি’ ; কৃষিমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ১০ ২০১৯, ২০:০২

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সেটিকে ‘দিনে-দুপুরে ডাকাতি’ বলে বর্ণনা করেছেন সরকারের কৃষিমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

এসব দুর্নীতির কারণে ক্ষমতাসীন দলের জন্য ‘রাজনৈতিক মূল্য’ অনেক বেশি হতে পারে মি: রাজ্জাক উল্লেখ করেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরতদের জন্য আবাসিক এলাকায় আসবাবপত্র কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

সম্প্রতি একটি সরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি পর্দা কেনা হয়েছে ৩৭ লাখ টাকায়।

এসব দুর্নীতিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেন আব্দুর রাজ্জাক।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “এগুলো হলো একদম দিনে-দুপুরে ডাকাতি কিংবা সিঁদ কেটে চুরি করা ছাড়া কিছুই না। একজন সরকারি কর্মকর্তার এতো বড় সাহস কোথা থেকে আসে!”

তিনি বলেন, এতে সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার ভীষণ উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন মি: রাজ্জাক।

“আমাদের যত অর্জন সাফল্য সবই ম্লান হয়ে যাচ্ছে, সব ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। বরং কালিমা লেপন হচ্ছে।”

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা বালিশ এবং পর্দা ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি হালকা-ভাবে উপস্থাপন করলেও মি: রাজ্জাক বলছেন ভিন্ন কথা।

তিনি মনে করেন, এগুলো ‘ছোটখাটো’ কোন বিষয় নয়। “ছোটখাটো বিষয় হবে কেন? যারা এগুলো করতে পারে তারা বড়ও করতে পারে,” বলছিলেন মি: রাজ্জাক।

রাজনৈতিক সদিচ্ছা কতটা?

দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সরকারের মধ্যে ‘দ্বিমুখী চিত্র’ প্রকাশ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা বললেও যারা এটি বাস্তবায়ন করবেন, তাদের একটি অংশের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির ঘটনাগুলোকে অস্বীকার করার মানসিকতা দেখা যায়।

“এ ধরণের বক্তব্য যখন আসে তখন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যারা জড়িত, বিচারিক কিংবা তদন্ত প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের কাছে এক ধরণের রং মেসেজ (ভুল বার্তা) পৌঁছায়,” – বলছিলেন মি: জামান।

তবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই।

মি: রাজ্জাক বলেন, দুর্নীতি কমানোর জন্য এরই মধ্যে সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।

 

সৌজন্যে : বিবিসি বাংলা