সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহের বিধান রেখে সংসদে বিল
একুশে জার্নাল ডটকম
নভেম্বর ০৬ ২০২২, ২২:৩১
সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের বিধান রেখে জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল, ২০২২ সংসদে উঠেছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জাকাত সংগ্রহ, বিতরণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির ক্ষমতা বোর্ডের থাকবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক সরকারের আমলে করা আইন ‘জাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ বিলুপ্ত করে নতুন আইন করতে এ বিল আনা হয়েছে।
আজ (৬ নভেম্বর) রবিবার বিলটি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
উত্থাপিত বিলে ধর্ম মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে জাকাত বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে। এর সদস্য হবেন ধর্মসচিব (ভাইস চেয়ারম্যান), ধর্ম, অর্থ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন করে যুগ্ম সচিব পদ মর্যদার তিন কর্মকর্তা, সরকার মনোনীত পাঁচ জন আলেম, সরকার মনোনীত ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দুজন প্রতিনিধি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সদস্যসচিব) । বছরে এ বোর্ডের কমপক্ষে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। বোর্ডের পরিচালনা ব্যয় সরকার বহন করবে।
কমিটি গঠন সম্পর্কে বিলে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে কেন্দ্রীয়, সিটি কপোরেশন, বিভাগ, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করতে পারবে।
জাকাত তহবিল গঠন সম্পর্কে বিলে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে সংগৃহীত জাকাত, প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম নাগরিক, কোনো বিদেশি মুসলিম ব্যক্তি বা কোনো সংস্থায় জমাকৃত জাকাতের অর্থ থেকে পাওয়া জাকাত এবং শরিয়াহ সম্মত অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া জাকাত।
বিলে বলা হয়েছে, শরিয়াহ সম্মত খাত ব্যতীত অন্য কোনো খাতে জাকাতের অর্থ ব্যয় বা বিতরণ করা যাবে না।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঙ্গতি সম্পন্ন মুসলিমের ওপর আল্লাহ জাকাত ফরজ করেছেন। জাকাত দারিদ্র বিমোচন ও পুনর্বাসনের হাতিয়ার। জাকাত কোনো স্বেচ্ছামূলক দান নয়, বরং জাকাত ধনীর সম্পদ থেকে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের জন্য আল্লাহ নির্ধারিত বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়া নির্দিষ্ট অংশ। দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জাকাত ব্যবস্থা চালু থাকলেও নানা কারণে তার কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছিল না। জাকাতের মাধ্যমে এক সময় সারা মুসলিম জাহানে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হয়েছিল। এ আইন পাস হলে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।