সবাই যখন ঘরে আওয়ামী লীগ তখন মানুষের পাশে: প্রধানমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০৩ ২০২০, ১৭:১২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশে থাকবো। আমি দেশবাসীকে এইটুকু বলতে চাই যে, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে এবং সেটা এবারও প্রমাণিত। এই দেশে গরিব মানুষের সেবা করার অনেক লোক, অনেক রকমের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আমরা দেখি। কিন্তু করোনাকালীন সময় তো তাদের কোনো কার্যক্রম আমরা দেখিনি। যখন সবাই ঘরে তখন মানুষের পাশে আর কেউ নাই, মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে। জনগণের আস্থা বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি।

শনিবার (৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি একথা বলেন। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের পার্টির কাজগুলো মোটামুটি কিছু কিছু জায়গায় সচল রয়েছে। নির্বাচনগুলো হয়েছে। আমি মনে করি, খুব বেশি চলাচল না করলেও কিছু সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হয়তো সম্মেলন হয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে আমরা আর কমিটি করতে পারিনি বা কারো খোঁজও নিতে পারিনি, যেতেও পারেনি, আমার এখন মনে হয় আস্তে আস্তে সেগুলোর কাজ করতে পারবো। সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে তখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে যে কারণে আমাদের প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এতো বড় ত্যাগ বোধ হয় আর কোনো দল করেনি। তারা লিভ সার্ভিস দিয়েছে। আর আমি তো প্রাইভেট টেলিভিশন দিয়েছি, রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা দিয়েছি, যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে, কিন্তু তাদেরকে মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে, আওয়ামী লীগ কতটুকু করলো, কতটুকু করলো না, কিন্তু তারা আয়নাতে নিজের চেহারা দেখে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বিভিন্ন সময় আমাদের এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছি, বিএনপি জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস। ব্যাপকভাবে তারা আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপও আমরা দেখেছি। কিন্তু সেগুলো আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত এখনো তাদের খোঁজ নিচ্ছি। এবং যেখানে যতটুকু পারি তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশে থাকবো। আমি দেশবাসীকে এইটুকু বলতে চাই যে, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে এবং সেটা এবারও এই দুর্যোগে প্রমাণ হয়েছে। জনগণের আস্থা বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি।

কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্যকে আমরা ডাকতে পারেনি। হয়তো পরবর্তী মিটিংয়ে এবার যারা আসতে পারেনি তাদের ডাকব। আপনাদের মূল্যবান মতামতও শুনতে চাই, অভিজ্ঞতাও শুনতে চাই, আগামী দিনে কি করণীয় সেটাও জানতে চাই এবং মাঠ পর্যায়ে মানুষের সাথে যোগাযোগটা রক্ষা করে চলবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এই জনগণকে একটা উন্নত জীবন দিতে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হোক মুজিব বর্ষে আমাদের বড় অঙ্গীকার।