সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত আসনে বাঙালি এমপি না দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম
একুশে জার্নাল
ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০১৯, ১৩:৪৯

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ, আপনারা অবগত আছেন গত ৩০/১২/২০১৮ ইং রোজ রবিবার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নমীনেশনের কারনে তিন জন ই উপজাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ৫১ শতাংশ বাঙালিদের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার সম-বন্টনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার একজন বাঙালি কে নমীনেশন দিলে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক উন্নয়নের স্লোগানে একজন বাঙ্গালী এমপি নির্বাচিত হতেন। তবুও আমরা উন্নয়নের পক্ষে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহন করে ঐ প্রার্থী কে ভোট দিয়েছি। প্রতিনিধি বিহীন বাঙালিরা সরকারের কাছে ন্যায্য দাবী জানিয়েছিলেন একমাত্র সংরক্ষিত মহিলা আসন টি তে হলেও একজন বাঙালি এমপি দেওয়া হোক। এমন একটি গনদাবী কে উপেক্ষা করে সংরক্ষিত আসনটিতেও উপজাতীয় প্রার্থী কে নমীনেশন দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন পার্বত্য অধিকার ফোরাম, কেন্দ্রীয় সংসদ।
পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: মাঈন উদ্দীন আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ব শেখ হাসিনার বরাবরে বিনীত আহবান জানিয়ে বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে পিছিয়ে পড়া ৫১% বাঙালি জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত মহিলা আসনটিতে হলেও একজন বাঙালি কে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিতে হবে। কারন উন্নয়ন ও ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দু পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী, তিনজন এমপি,উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান,টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, তিন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান,তিন সার্কেল চিফ, বিতর্কিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং তিন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সহ অন্যান্য সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৯০% শতাংশের বেশি উপজাতীয় প্রতিনিধি। প্রতিনিধি বিহীন, পিছিয়ে পড়া বাঙালিদের এগিয়ে আনতে সরকারের কোন সুষ্পষ্ট উদ্দ্যোগ না থাকলেও বাঙালিদের ভোট ব্যতিত তিন পার্বত্য জেলায় আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়না। সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই যে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের জন্য এত অগ্রাধিকার ও সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন সেই সকল উপজাতীয়(বিশেষত চাকমা)রা কি আওয়ামীলীগ কে ভোট দিয়েছেন? আমরা দেখেছি সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটির আওয়ামী বিদ্বেষী প্রার্থী উষাতন তালুকদারের ১লক্ষ আট হাজার ভোট সহ উপজাতীয়দের প্রায় তিন লাখ ভোট পেয়েছেন ইউপিডিএফ ও জেএসএস প্রার্থী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-১৯৯৭ সই করার সময় আপনী বলেছিলেন পাহাড়ি বাঙালি সকলের সম প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবেন। দশম জাতীয় সংসদে আপনার সুদৃষ্টির ফলে সংরক্ষিত মহিলা কোটায় একজন এমপি হয়েছিলেন। এর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আপনার পক্ষ থেকে নমীনেশন দেওয়ায় তিন উপজাতীয় প্রার্থীকেও আমরা নির্বাচিত করেছি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত কোটায় সদ্য নমীনেশন পাওয়া প্রার্থী কে প্রত্যাহার করে পাহাড়ের ৫১ শতাংশ বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন বাঙালি (মন্ত্রী পদমর্যাদায়)কে এমপি করে সংসদে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিবেন।
অন্যথায় পাহাড়ের সকল পিছিয়ে পড়া, সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত বাঙালিরা রাজপথে নেমে এসে তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন।
উপরোক্ত ন্যায্য দাবী বাস্তবায়নে একত্বতা জানাতে প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।