শ্রীমঙ্গলে অনির্দিষ্টকালের সিএনজি ধর্মঘট

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০২ ২০২০, ১৫:৪৭

এহসান বিন মুজাহির : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট হরিনছড়া, হোসনাবাদ ও জানাউড়া সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে। ওইসব সড়কে জীপ চালকরা নিয়ম ভেঙ্গে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ২৩৫৯ এর অন্তর্গত সিএনজি চালকরা এ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে ১২২৩ পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের জীপ চালকদের সাথে সিএনজি চালকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর ফলে গত বুধবার (১লা জানুয়ারি) বিকেলে থেকে সিএনজি চালকরা দিনভর গাড়ি বন্ধরেখে ধর্মঘট পালন করে। বুধবার বিকেলে সড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে জানাউড়া সাইটুলা মাদরাসার সড়কের পাশে একটি মাঠে শত শত সিএনজি অটো রিক্সা জড়ো করে ধর্মঘট পালন শুরু করে চালকরা। আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কে সিএনজি যান চলাচল বন্ধ হওয়ার ফলে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। গতকাল থেকে অনেক যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিক্সায় চলাচল করতে দেখা গেছে। সিএনজি চালক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কালিঘাট রোড চৌমুহনা থেকে তারা হরিনছড়া, হোসনাবাদ ও জানাউড়া সড়কে গাড়ি চালিয়ে আসছেন। কিন্তু ওইসব সড়কে চলাচলরত জীপ গাড়ি চালকেরা এখন সিএনজিতে যাত্রী তুলতে বাধা দিচ্ছে। সিএনজি চালক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বলেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১টি জীপ গাড়ি সিরিয়াল অনুপাতে ২টি এসিএনজি সিরিয়ালে চলবে, কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পর জীপ গাড়ী চালকেরা এ নিয়ম ভেঙ্গে নিজেদের ইচ্ছে মাফিক সড়কে জীপ নামাচ্ছে। এতে করে সড়কে সিরিযালের শৃংখলা ভেঙ্গে পড়েছে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিরোধ মিমাংসা করে দেয়। কিছু দিন যাওয়ার পর জীপ চালকরা সেইসব সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলেছে। সিএনজি চালকদের দাবী- সড়কে ২৩৫৯ এর অন্তর্গত সিএনজি তাদের মতো করে স্বাধীনভাবে চলাচল করুক আর ১২২৩ এর অন্তর্গত জীপ গাড়ী তাদের মতো করে চলুক। সিএনজি নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ওই রোডের সাইটুলা এলাকার আব্দুল ওয়াহিদ একজন প্রবাসী যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, তিনি কয়েকদিন পূর্বে তার অসুস্থ বোনকে নিয়ে হাসপাতালে সিএনজি রির্জাভ করে আসতেছিলেন কিন্তু একজন জীপ ড্রাইভার তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে দেড় ঘন্টা জীপ গাড়ীতে বসিয়ে আরও প্যাসেঞ্জার নিয়ে শহরে আসতে বাধ্য করে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন জীপ গাড়ীর চালকদের নিকট ওই এলাকার বাসিন্দারা জিম্মি হয়ে আছে।
এ ব্যাপারে লাইটেস, বাস ও জীপ গাড়ীর শ্রমিক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়না মিয়া জানান, কালিঘাট রোড সিএনজি ও জীপ গাড়ীর চালকদের বিরোধীয় বিষয় পূর্বে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।এখন চালকে চালকে ঝগড়া নিয়ে ধর্মঘট হতে পারে না।তিনি আরও জানান পূর্বের নিয়ম মেনেই সবাইকে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার বেলা ২.৩০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্মঘট চলছে।