শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না: রিজভী
একুশে জার্নাল
নভেম্বর ০২ ২০১৮, ১০:০১
শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
২৭ অক্টোবর, শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং হবেও না। তার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি যে নির্বাচন করবে সেটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে।’
‘কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যত ভোট হয়েছে সব ভোট হয়েছে সন্ত্রাসমুখর, উৎসবমুখর নয়। ভোট ডাকাতি হয়েছে, জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের মনে বড় ধরনের সংশয় হচ্ছে যে, শেখ হাসিনাই নির্বাচন করবেন না। কারণ সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তার বারোটা বাজবে। এই কারণেই তিনি একতরফা নির্বাচনেরই জোগাড় যন্ত্র করছেন। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নানা ধরনের নীল নকশা আঁকছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোট দেওয়ার গ্যারান্টিই হচ্ছে-সেই নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আপনি দেশে অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন। একের পর এক কালা কানুন প্রণয়নের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে আপনারা হানাদারি শাসন টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। আর এ জন্যই একতরফা নির্বাচন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।’
‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি করলেই প্রধানমন্ত্রীর চিত্তচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কারণ চিরচেনা আওয়ামী সন্ত্রাসের আবহেই আগামী নির্বাচন করতে চান শেখ হাসিনা। কিন্ত আপনাদের সে আশা পূরণ হবে না।’
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবশ্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি সরকারকে মানতে হবে।’
‘বিশ্বের দেশে দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বির্তকিত ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বিএনপি এসব ইভিএম মেলার প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান করছে। ইভিএম মেলাতে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবে না।’
রিজভী বলেন, ‘গতকাল ভারতের শিলংয়ের আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদকে। এই রায়ে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা সম্পর্কে আমাদের শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেল। আমি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য।’
‘আমরা আশা করব যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ বিজয় এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয়।’