শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সাইনবোর্ড দিয়ে জমি দখলের পায়তারা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৩ ২০২০, ১৮:২২

ইয়ামিন কাদের নিলয়, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, সজিব ওয়াজেদ জয় এবং তার ছবি দিয়ে সাইনবোর্ড বানিয়ে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে ৷

সরোজমিনে গেলে এলাকাবাসী বলেন-৬৩ নং কোড়ালতলী মৌজার ১৮৩ নং খতিয়ানে এস এ ৪২৩ নং দাগে ৪০ শতাংশ জমির মধ্যে ২৭ শতাংশ জমির উপর মুক্তিযোদ্ধা অাব্দুল জলিল বেপারি বঙ্গবন্ধু,প্রধানমন্ত্রী,

সজিব ওয়াজেদ জয় এবং তার ছবি দিয়ে একটি বড় সাইনবোর্ড লাগিয়েছে ৷ জলিল বেপারী মুক্তিযুদ্ধার ক্ষমতা দেখায় ৷ সে এই এলাকার অারো কয়েক জনের সাথে জমি জমা নিয়ে এমন ঝামেলা করে অাসতছে ৷ শুধু তাই নয় এই জলিল বেপারী তার অাপন ভাই বোনদের সম্পদের ভাগ না দিয়ে তার বাবার কাছ থেকে সব সম্পদ তার দুই ছেলের নামে লেখিয়ে নিয়েছে ৷

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী ছোট ভাই আব্দুল কাদের ওরফে আবুল বেপারী জানান, আমার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী, আমার পিতা মৃত শিকিম আলী বেপারী বার্ধক্য জনিত কারনে দীর্ঘ দিন অসুস্থ্য থাকা কালীন অবস্থায় চিকিৎসা করানোর কথা বলে ভেদরগঞ্জ নিয়ে আমার পিতার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে আমার দুই বোন ও আমাকে বঞ্চিত করে, তার দুই ছেলের নামে জমি লিখে নেন। আমার ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী একজন প্রতারক।কোড়ালতলী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউল্লাহ সরদার জানান, প্রায় তিন বছর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী আমার ব্যক্তি মালিকানা জমিতে অংশীদারিত্ব দাবী করে আমার জমি দখলের চেষ্টা করেছিলেন আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি, আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে আব্দুল জলিল বেপারীকে আমার জমি হতে উচ্ছেদ করতে সক্ষম হই, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীর কৃত কর্মে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জলিল বেপারি বলেন-অামি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি ৷ আমি শের আলীর জায়গায় সাইনবোর্ড লাগাইনি ৷ আমার কোন জমি জমা না থাকায় ১৬৩ নং খতিয়ানে এস এ ৪২৫ নং দাগে ১০ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্তো নেই ৷ আমি সেই ভূমির উপর বঙ্গবন্ধু,প্রধানমন্ত্রী,জয় এবং আমার ছবি দিয়ে সাইনবোর্ড বানিয়ে লাগিয়েছি , এটা দোষের কি আছে ?

শের আলী বলেন-৬৩ নং কোড়ালতলি মৌজার ১৮৩ নং খতিয়ানে এস এ ৪২৩ নং দাগে ৪০ শতাংশ জমি অামার নানায় অামার বাবারে দিয়া গেছে ৷ অামার বাবা মারা যাওয়ার পরে অামার ওয়ারিশদের কাছ থেকে অামি জমি ক্রয় করে ৪০ শতাংশর মালিক হই ৷ অামার নামে মিউটেশন আছে,আমি এই জমির খাজনা দিই ৷ কিন্তু অামার এই ৪০ শতাংশ জমির মধ্যে ২৭ শতাংশ জমি দখল করার উদ্দেশ্যে জলিল বেপারি বঙ্গবন্ধু,প্রধানমন্ত্রী, সজিব ওয়াজেদ জয় এবং তার ছবি দিয়ে নাজমা ভিলা নামে একটা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে ৷ তার এই দাগে কোন জমি নাই ৷ জলিল বেপারী সিটারি করে অামার জমি আত্বসাতের পাইতারা করতেছে ৷ সে এই এলাকার অনেকের সাথে এমন করে অাসছে ৷ আমি জলিল বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি ৷ মামলা চলোমান আছে ৷

রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬৩নং কোড়ালতলী মৌজার এস.এ ৪২৫ নং দাগে সরকারি খাল ও রাস্তা থাকার কারনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমের নামে দেওয়া বন্দোবস্তো কৃত জমি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে ।