শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: দিশেহারা কৃষক
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ২৭ ২০২০, ১৯:৪৮
ইয়ামিন কাদের নিলয়, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে গত কয়েক দিনে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চল সহ নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে আবারও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফসলী জমি। বন্যায় একবার ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আবারও পানিতে আগাম ফসল ক্ষতির মুখে পড়ায় এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলার কৃষকরা।
শরীয়তপুর কৃষি বিভাগ ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পদ্মা নদীর পানি গত ২/৩ দিনে ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পদ্মা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়েও ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলা চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
নড়িয়া ইশ্বরকাঠি গ্রামের কৃষক জলিল একুশে জার্নাল কে বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার পানি চলে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাই। এরপর ধারদেনা করে জমিতে শাক-সবজি, আমন, মরিচ ও মাসকলাই রোপন করি। হঠাৎ করে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আবারও আগাম ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখন কিভাবে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে বাঁচবো চিন্তা করে কুল পাইনা।
চলতি বর্ষা মৌসুমে বন্যায় জেলার ১৯ হাজার ৭৬৯ জন চাষীর ৮৮২ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, রোপা আমন, আউশ, বোনা আমন, পাট, শাক-সবজি, আখ, পান, ফলবাগান বিনষ্ট হয়েছে।এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার ফসল। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের বন্যার পানিতে আমন, শাক-সবজি, মাসকলাই ও চারা মরিচের জমি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ২/৩ দিন নিমজ্জিত থাকাতে সকল ফসল সমূলে বিনষ্ট হয়ে যাবে।
শরীয়তপুরের দিশেহারা কৃষকেরা বার বার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। যে সব কৃষকদের ফসলের উপর পরিবারের ব্যয় বহন করতে হয়। তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ করে ফসল করে বার বার অনাবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে বিনষ্ট হলে এ ক্ষতি পুঁষিয়ে উঠা দুঃসাধ্য। পাশাপাশি জেলার মানুষের তরিতরকারী ও শাকসবজির অভাব দেখা দিবে।
বন্যার পরে যে সব জমিতে শাকসবজি বোপন করা হয়েছে ধীরে ধীরে তা বাজারজাত করা শুরু হয়েছিল। তা বিনষ্ট হলে তরিতরকারী পাওয়া কষ্ট হবে।
নড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান একুশে জার্নাল কে জানান, কয়েকদিন পূর্বে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুনরায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলী জমি প্লাবিত হয়েছে। ২/৩ দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।