শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ১৩৯ মামলায় প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমানা
একুশে জার্নাল
মে ১৮ ২০২০, ১৯:৩৬
ইয়ামিন কাদের নিলয়, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ডামুড্যা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাটবাজার ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাইকিং করে জনসচেতনতা তৈরী, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ ও জনগণকে ঘরে রাখতে চালিয়ে যাচ্ছেন নানামূখি কার্যক্রম।
ডামুড্যা বাজারের মার্কেটে কিছু অসচেতন মা ৪ মাস থেকে শুরু করে ১ বছরের বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাৎক্ষনিক ভাবে সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন মার্কেটে গিয়ে অসচেতন মায়েদের হাত জোড় করে বার বার অনুরোধ করেন বাচ্চা নিয়ে যেনো এভাবে না ঘুরে বাসায় থাকেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।
সরকারি নির্দেশনায় দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি রোধে নিয়মিত হাটবাজার মনিটরিং, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই ও পবিত্র মাহে রমজানে নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডামুড্যা উপজেলাসহ ইউনিয়নের মার্কেট ও বাজারগুলোতে টহল, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিতকরণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছেন।
সরকারি আদেশ/নির্দেশনা অমান্যকরণ ও হোমকোয়ারেন্টিন ভঙ্গের দায়ে দুই মাসে উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এ পর্যন্ত মোট ১৩৯ টি মামলায় ১,৯০,৪৭০/- টাকা জরিমানা করেন।
তিনি বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছি। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট রোধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করছে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করছি।
তিনি আরো বলেন, অসচেতন মায়েরা শপিং এ এসেছে ০৪ মাসের বাচ্চা নিয়ে। আরেকজন ১ বছরের বাচ্চা নিয়ে। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন এসেছেন? করোনা ভাইরাসের সম্পর্কে কি জানেন? উত্তর ছিল- কিছু কেনাকাটা ছিল। ঈদ সামনে। জামাই নিয়ে আসেনি, তাই এসেছি। কিভাবে সম্ভব এই মানুষগুলোকে সচেতন করা? শপিং সেন্টারে ঘুরে ঘুরে বার বার অনুরোধ করেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা আমি পালন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাবো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।