লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা
একুশে জার্নাল
ডিসেম্বর ১৬ ২০১৮, ১১:১০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার সকালে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়া ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিকার চেয়ে তিনি দুপুর ২টার দিক থেকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকতার অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।
হামলার বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সকালে কালিহাতীর গোহালিয়া বাড়ি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্তমান সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খানের ইন্ধনে আমার গাড়িবহরে হামলা করে। তারা আমার ব্যাক্তিগত গাড়িসহ আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে আমার কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে পর্যন্ত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর মহাজোট সরকারে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্যও হন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টাঙ্গাইল-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে হজ, তাবলিগ জামাত এবং দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে দেশ ও বিদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বোচ্চ সমালোচিত হন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
এ কারণে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এ অভিযোগেই তিনি দেশে ফিরে আত্মসমর্পণও করেন। কয়েক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে হাসান ইমাম খান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।