লকডাউনে রূপগঞ্জে মাদকের হোম সার্ভিস
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ২২ ২০২০, ১৬:০৬
মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ;
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চললেও থেমে নেই মাদক কারবারিদের ব্যবসা।এ যেন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের হোম সার্ভিস! যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে ক্রয় বিক্রয় সীমাবদ্ধ, সেখানে ফোন করলেই বাড়িতে কিংবা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দিচ্ছে মাদক। এ জন্য ডেলিভারী চার্জও আদায় করছেন তারা। উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের মাদক কারবারিরা চালু করেছেন এই হোম ডেলিভারী সার্ভিস।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা জুড়ে গত ৮ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হলে গৃহবন্দি হয়ে পরে মানুষ। এ অবস্থায় মাদকের কারবারে কিছুটা স্থবিরতা আসলে ভোলাবো এলাকার কয়েকটি গ্রামের মাদক কারবারিরা শুরু করে বাসায় মাদক পৌছে দেয়ার সেবা। এদের মধ্যে দড়িচারিতালুক এলাকার মিজানের ছেলে মাসুম মোল্লা, একই গ্রামের মিজান চৌকিদারের ছেলে কবির, চারিতালুক এলাকার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে নাঈম ও শাহিন, কুড়িয়াইল এলাকার হালুর ছেলে আরিফ, একই এলাকার হানিফার ছেলে জোবায়ের, দড়িচারিতালুক এলাকার পারভেজ, হানিফার ছেলে আওলাদ, মিল্লাতের ছেলে ইউছুফ, বাসুন্দা এলাকার আজিজের ছেলে মোহসিন এই পদ্ধতিতে দেদারছে তাদের কারবার চালাচ্ছেন। সূত্রমতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মহামারী করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় কর্মকান্ডে ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে তারা এলাকায় ভিন্ন পদ্ধতিতে এই কারবার শুরু করেছেন। হাতের নাগালে মাদক সেবন সহজলভ্য হওয়ায় মাদকসেবীরা লকডাউনেও সেবন থেকে বিরত থাকছেন না।
ভোলাব গাবতলা এলাকার এক ইয়াবাসেবী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, একটি চম্পা বড়ি(ইয়াবার নাম) ১’শ টাকা হলেও নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে দেয়ার কারনে তারা বড়ি প্রতি আরো ২০ টাকা নেয়, এছাড়া জ৭ (ইয়াবার নাম) ৩’শ টাকা হলেও বর্তমানে তারা সাড়ে ৩’শ টাকায় বিক্রি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকা লকডাউনের দোহাই দিয়ে মাদক কারবারিরা এলাকার প্রবেশ পথে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রয়োজনীয় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ সুযোগে তারা তাদের কারবার নির্বিঘ্নে চালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাইফুল ইসলাম বলেন, উল্লেখিত মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান আরো জোরদার করা হবে।