লকডাউনে মসজিদে নামাজ আদায়ে যেসব নির্দেশনা জারি করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ৩০ ২০২১, ২০:৩৩

দেশজুড়ে করোনার ব্যাপক বিস্তার পরিস্থিতিতে এবং চলমান লকডাউনে মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে চলমান থাকছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন।
কঠোর লকডাউনের এই সময় মুসল্লিদের মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতা, প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসা, সাথে করে জায়নামাজ নিয়ে আসাসহ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে।
আজ (৩০ জুন) জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৩০ জুন কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছে।
সেই অনুযায়ী দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে জামায়াতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে ৯টি শর্ত পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ধারাবাহিক এই শর্ত অনুযায়ী—
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে।
৫. মসজিদে জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে শিশু, বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি।
৬. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৭. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রব্বুল আ’লামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।
৮. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
৯. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।