রোহিঙ্গা শিবিরের ভেঙ্গে ফেলা মসজিদ পুনঃনির্মাণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
একুশে জার্নাল
এপ্রিল ১৭ ২০১৮, ১৬:০২
কক্সবাজারের কুতুপালং এর মধুরছড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ‘শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. মসজিদ’ ভেঙ্গে ফেলায় তা পুনঃনির্মাণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস। আজ সোমবার রাজধানী মুহাম্মদপুরে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জান মাল হেফাজত করা যেমন আমাদের দায়িত্ব ঠিক একইভাবে তাদের ঈমান আকিদার হেফাজতের দায়িত্বও বাংলাদেশের সরকার ও ষোল কোটি মুসলিম জনতার। অথচ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য প্রাপ্ত বিদেশি অনুদান দিয়ে রোহিঙ্গাদের থাকা খাওয়ার প্রয়োজন পূরণ করলেও তাদের ঈমান আকিদা রক্ষায় কোনো গুরুত্ব নেই। গুরুত্ব দূরে থাক এ দেশের আলেম উলামা ও সাধারণ জনতার অর্থে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত মসজিদ ও মাদরাসা পরিচালনায় সরকার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু দুষ্টু এনজিওর প্ররোচনায় কুতুপালং এর সর্ববৃহৎ মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে ভেঙ্গে ফেলা মসজিদ পুনঃনির্মাণ না করলে ও আর কোনো মসজিদের গায়ে আঘাত হানলে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে একটি বিশেষ সুযোগ গ্রহণ করছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আসা বিদেশি অর্থ কোথায় যাচ্ছে আমরা এর জবাব চাইনি। সরকার এ অর্থ দিয়ে নির্বাচনি তহলিব সংগ্রহ করছে কীনা আমরা তাও জানতে চাই না। তবে এ দেশের সাধারণ মানুষের অর্থে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত মসজিদ মাদরাসায় আঘাত দিলে সরকারের কালো হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে। কুতুপালং এ ভেঙ্গে মসজিদ ভাঙার সাহস এনজিওরা কোথায় থেকে পেয়েছে আমরা জানতে চাই। কোনো আলোচনা ছাড়া মসজিদ ভাঙ্গার ফলাফল খুব বেশি ভালো হবে না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সহ-বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হাশমতুল্লাহ ফরিদি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন,ঢাকা মহানগরীর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম,মাওলানা জাহিদুজ্জামান মাওলানা আল আবিদ শাকির।