রূপসী থেকে বনগ্রাম পর্যন্ত সংযোগ সড়ক দাবি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০৩ ২০২১, ২২:৩৮

নীহার বকুল, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রূপসী বাজার থেকে বনগ্রাম পর্যন্ত কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় বছরের পর বছর ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্তত দশটি গ্রামের লাখো মানুষ। বর্ষা মৌসুমের কারণে এসব গ্রামের বাসিন্দাদের বছরের অন্তত ছয়মাস থাকতে হয় পানিবন্দি হয়ে। রাস্তা না থাকায় বাকি ছয় মাস খেতের আল ধরে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারলেও মালামাল পরিবহনের জন্য রিকসা বা ঠেলাগাড়ি চলাচলেরও কোনো ব্যবস্থা থাকে না।

বছরে ছয় মাস যে গ্রামগুলোর মধ্যে যাতায়াত বলতে গেলে বন্ধ থাকে সেগুলো হচ্ছে: বনগ্রাম, নগুয়া, বাঁশতলা, কুড়িপাড়া, নগরবেড়া, রূপসী ও বাঁশাটি। ফুলপুর উপজেলার এই গ্রামগুলোর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের কোনো রাস্তা নেই বললেই চলে। যে কয়টি কাঁচা রাস্তা আছে সেগুলোও বর্ষা এলে তলিয়ে যায় পানির নিচে। বছরের ছয় মাস পায়ে হেঁটে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।

রাস্তা না থাকায় বছরের পর বছর ধরে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উল্লিখিত গ্রামগুলোসহ প্রায় ১০টি গ্রাম এবং রূপসী ও ফুলপুর ইউনিয়নের লাখো মানুষকে। ব্যাহত হচ্ছে শিশুকিশোরদের পড়াশোনা। বর্ষা মৌসুমে মালামাল পরিবহন কিংবা রোগাক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে এসব গ্রামের লোকদের। এসব গ্রামের বাসিন্দাদের বছরে ছয় মাস যাতায়াত করতে হয় ঘোরা পথে। তাদের জন্য দেড় বা দুই কিলোমিটারের হাঁটা পথ না থাকায় তাদের অন্য রাস্তায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।

অন্য এলাকার মানুষ যখন পাকা রাস্তার দাবি তুলছে তখন এই গ্রামগুলোর মানুষের দাবি শুধু একটি কাঁচা রাস্তার।

রূপসী বাজার সেতু থেকে একটি কাঁচা রাস্তা বাঁশাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে কিছুদূর গিয়ে গড়ামারা বিলে খেই হারিয়েছে। এই রাস্তাটিকে টেনে নিয়ে ফুলপুর বাঁশতলা ডেফুলিয়া বাজার সড়কের সাথে সংযুক্ত করে দিলেই লাখো মানুষের দুর্ভোগের অবসান হয়। বাঁশাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বনগ্রাম পর্যন্ত একটি সরাসরি রাস্তা হলে আশপাশের অন্তত সাতটি গ্রামের মানুষ ও স্কুলগামী শিশুরা নিত্যদিনের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পায়।