রিমান্ড শেষে কারাগারে অধ্যক্ষ সিরাজ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ২০ ২০১৯, ১১:১০

 

মাদাসারছাত্রী নুসরাত জাহার রাফির শ্লীলতাহানির মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে দুইদিনের রিমান্ডে থাকা সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সন্ধ্যায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, গত ১৭ জুন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ (বুধবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। একইদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দয়ের করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর থেকে ওই মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে সিরাজের লোকজন। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের তিন তলার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগিরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা করেন। পরে ৩০ মে মামলার এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করে পিবিআই।

অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল নুসরাত হত্যা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।