রায়ের প্রতিবাদে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিক্ষোভ
একুশে জার্নাল
অক্টোবর ১০ ২০১৮, ২০:৩০
সাজ্জাদ আনসারী লন্ডন: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্টের মামলায় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ফরমায়েশি রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ১০ অক্টোবর রোজ বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এমপি সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ, জোনাল কমিটির নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীসহ ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দগণ বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে অবৈধ সরকারের ফরমায়েশি রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ফরমায়েশি রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশে এই হামলার সঙ্গে দেশনায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপিকে জড়ানো হয়েছে যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক । বিএনপি কখনোই এভাবে ঘৃণ্য হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা ।আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিএনপি জিয়া পরিবারের ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশে সুদূরপ্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট মামলার বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের দলীয় লোক ও জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে মামলা পুনঃতদন্তের নামে দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু করে। এম এ মালিক বলেন, শেখ হাসিনার সারাসরি নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দলীয় লোক কাহার আকন্দ নতুন তদন্ত প্রতিবেদনে তারেক রহমানের নাম সহ বিএনপি নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এমনকি ২০০৮ সালের ১১ জুন বর্তমান আইজিপি ও সিআইডির তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদনে কোথাও তারেক রহমান বা বিএনপির কারো নাম ছিল না ।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় মুফতি হান্নানের দেওয়া জবানবন্দিতেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। শুধুমাত্র তারেক রহমানের নাম বলানোর জন্য মুফতি হান্নানকে ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম জোর করে বলানো হয়। কিন্তু মুফতি হান্নান আদালতে বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদনে জানান তাকে নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। এম এ মালিক বলেন, আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র, হামলা মামলা, নির্যাতনে বিএনপি ভীত নয়। সকল ষড়যন্ত্র ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সাথে মোকাবিলা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দেশে জনগনের সরকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় প্রদান করেছে। তিনি ফরমায়েশি রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আদালত রায় দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করলেও এর আগেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতা-কর্মীরা সভা সমাবেশের মাধ্যমে দেশবাসিকে মামলার রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, এ মামলায় মোট ২২৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন, একজন সাক্ষীও তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতাদের সম্পৃক্তার কথা বলে নাই। কয়ছর এম আহমেদ বলেন, ২১ আগস্ট মামলার প্রথম থেকেই আওয়ামীলীগ ষড়যন্ত্র শুরু করছে।
তাদের সেই সমাবেশটি নির্ধারিত সময়ের আগ মুহূর্তে মুক্তাগন থেকে কেন তাদের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে অরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কে বা কারা স্থান পরিবর্তনের নির্দেশ দাতা ছিলেন। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টিত নির্ধারিত এলাকা মুক্তাঙ্গন থেকে কেন তাদের সভার স্থান পরিবর্তন করা হলো । কেনইবা শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেট প্রুফ জীপ গাড়িটিকে বিদেশী তদন্ত দলকে দেখতে দেওয়া হয় নাই।
কেন ঘটনার তদন্ত কাজে বিদেশি বিশেষজ্ঞ দলকে অসহযোগিতা করা হয়েছে । দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেদিন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাত্রেই শেখ হাসিনা দেখতে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু কেন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হল । সেই প্রশ্নগুলো জনগনের মধ্যে অজানা রয়ে গেলো । তিনি বলেন, অবৈধ বাকশালি সরকার জাতীয়তাবাদী শক্তির কাণ্ডারি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই ফরমায়েশি রায় প্রদান করেছে । তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের জনগণ দেশনেত্রী মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে জনগনের মধ্যে ফিরিয়ে আনব, দেশে গনতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরে যাবেন ।
এসময় আরো উপস্তিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী,আবুল কালাম আজাদ,আক্তার হোসেন,তৈমুছ আলী,গোলাম রব্বানী,সাবেক যুগ্মসম্পাদক ব্যরিষ্টার মওদুদ খান,এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল,তাজ উদ্দিন,জসিম উদ্দিন সেলিম,আজমল হোসেন জাবেদ,ফেরদৌস আলম,সিনিয়র সদস্য এমদাদ হোসেন,মিছবাউজাম্মান সোহেল,এডভোকেট খলিলুর রহমান,শামীম আহদ সহ বিভিন্ন জোনাল এর নেত্রীবৃন্দ যুক্তরাজ্য যুবদল,সেচ্ছা সেবক দল ,আইনজীবি ফোরামও মহিলা দলের হাজারো নেতা কর্মী।