রানাপ্লাজা ট্রাজেডি;সেদিন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডাঃ এনামুর রহমান
একুশে জার্নাল
ডিসেম্বর ১০ ২০১৮, ০২:২৮
চারিদিকে লাশ আর লাশ। অসহ্য দূর্গন্ধ পুরো এলাকাজুড়ে। পূর্ণ দেহী লাশের সংখ্যা ছিল কম। বেশির ভাগের অবস্থা এমন, যে হাত আছে পা নেই। পা আছে হাত নেই৷ অথবা পুরো দেহ আছে ঠিকই কিন্তু মাথাটা নেই। কখনো এমনও দেখা গেছে মাথা সহ পুরো দেহটাই আছে কিন্তু চেনার উপায় নেই এই লাশটা কার মা বা স্ত্রী।
আর যারা বেঁচে আছেন তারাও যেন অর্ধমৃত। কারো শরীরের অঙ্গ সংকট। আর কারো জীবন যায় যায় অবস্থা। দরকার পর্যাপ্ত ও আধুনিক চিকিৎসা। দরকর অর্থের ও সেচ্ছাসেবী চিকিৎসকের।
এমন অবস্থাই ছিলো রানাপ্লাজা ট্রাজেডির সময়। কিন্তু কিছুই হাতের নাগালে মিলছিল না তখন। ঠিক সেসময় আহত মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ান সাভারের বর্তমান এমপি ডাঃ এনামুর রহমান। বদান্যতার দুয়ার খুলে দিয়ে সবাইকে আশ্রয় দেন সাভার এনাম মেডিকেলে। একদম ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। যার ফলে কিছু মানুষ ফিরে পান জীবন, কিছু মানুষ বেঁচে যান বিকলাঙ্গ হওয়া থেকে। আবার কিছু মানুষ চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পান।
রানা প্লাজার শ্রমিক ফাতেমা একুশে জার্নালকে বলেন, আমার দু’টো পা-ই হারাতে বসেছিলাম। বিল্ডিং ভেঙে পড়ার সাথে সাথেই আমি আমার বাম পা হারাই। ডান পায়ের অবস্থাও ছিল খুব সঙ্কটাপন্য। পাশে কেউ ছিল না। সেদিন পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন ডাঃ এনামুর রহমান এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা পাওয়ার সুবাদে আমি আমার ডান পা টা হারাই নি। আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো ডাঃ এনামের প্রতি। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে পরকালে শান্তি দেন। তিনি পাশে এসে না দাঁড়ালে হয়ত ডান পা টাও হারাতাম।
শুধু ফাতেমা নয়। এমন হাজারো ফাতেমাকে সেদিন উন্নত চিকিৎসা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. এনামুর রহমান। সেজন্য তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়েছেন অধ্যাপক পদবী। বিশ্বজুড়ে তাঁর সুনাম আর সু ক্ষ্যাতি ছড়িয়ে আছে।
নির্লোভী মানুষটি বিশ্বাস করেন, সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। কোন দল নেই। তাদের একটাই ধর্ম তাহলো ” ধ্বংস”। তার কাছে ক্ষমতা বলতে কিছুই নেই। তিনি বিশ্বাস করেন, সমস্ত ক্ষমতার মালিক কেবল আল্লাহ। তিনি শান্তিতে বিশ্বাসী। ক্ষমতাকে শুধু আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব মনে করেন।