রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
একুশে জার্নাল ডটকম
মার্চ ০৭ ২০২০, ১৯:১৯
রাবি প্রতিনিধি:
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এসে মিলিত হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর লুৎফর রহমান, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বান, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, আবাসিক হল ও ডরমিটরি, প্রশাসনিক অফিসসমূহ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতার ডাক ও মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই বজ্রকণ্ঠ ভাষণেই শুরু হয়ে যায় সর্বস্তরের মানুষের রণপ্রস্তুতি। ৩০ লাখ বাঙালির রক্তে, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার যে বিজয় মুকুট পরেছে বাংলাদেশ তার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল সেই ভাষণে। ঐতিহাসিক এই দিনে স্বাধীনতার মহানায়ক, বাঙালি জাতির জনককে জানাই আমাদের অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুল আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের উপর রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।