মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল : কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান
একুশে জার্নাল
সেপ্টেম্বর ১৪ ২০১৯, ১৮:৫০
একুশে জার্নাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভে উত্তাল ছিল মৌলভীবাজার।
মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের আয়োজনে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন সহস্রাধিক আলেম এবং অর্ধশত কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল ১০ টায় মৌলভীবাজার টাউন ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল বারী ধর্মপুরী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ (ক) ধারা তুলে দেওয়ায় কাশ্মীর অঞ্চলের মুসলমানদের নিরাপত্তা বিপন্ন ও নাগরিক অধিকার চিরস্থায়ীভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়ে যাবে। বৃহত্তম গণতন্ত্রেও দেশ ভারত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কাশ্মীরের মুসলমানদের নিধন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগে থেকেই তারা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে, সংবিধান সংশোধন করে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়েছে। অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করে কাশ্মীরের মর্যাদা ও অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান আলেমরা।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মৌলভীবাজার শাহ মোস্তফা সড়ক থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কুসুমবাগ চত্বরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
সমাবেশ এবং মিছিলে আলেম এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ‘কাশ্মীরের বিপ্লবীরা লও লও সালাম, দিল্লির আগ্রাসন নিপাত যাক নিপাত যাক, ভারতের আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ, কাশ্মীর চায় আজাদি আজাদি, ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা মুজাহিদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল মুগনি এবং মাওলানা ইসলাম উদ্দিন। সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন রায়পুর টাইটেল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মুফতি হাবিবুর রহমান, নূরুল কুরআন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমদ বিলাল, ভাদগাঁও মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুর রহমান, রাজনগর গড়গাও মাদরাসার মুহতামিম কারি শামসুল হক, জামেয়া রাহমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা জামিল আহমদ, জামেয়া শেখবাড়ী মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা সাদ আমিন, মাওলানা সাইফুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলান জিয়া উদ্দিন ইউসুফ, মাওলান সাইফুর রহমান ফয়সল প্রমুখ।