বদরুল আলম চৌধুরী; মৌলভীবাজার জেলার সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনাসহ সিলেট, হবিগঞ্জ জেলাসহ ডাকাতির অন্যতম মূলহোতা একাধিক ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভোক্ত আসামী কুখ্যাত ডাকাত সাদ্দাম হোসেন কাজল মিয়া ও তার সহযোগী সাহেল মিয়াকে আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।

রবিবার (২৯ মার্চ) রাত্রি ০২:৫০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ, মোঃ আলমগীর হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), পরিমল চন্দ্র দেব, ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স), মোঃ হুমাযুন কবির, এসআই/জিয়াউলসহ সদর থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত ডাকাত ও তার সহযোগী সাহেল মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার করার সময় পুলিশ ডাকাত সাদ্দাম হোসেন কাজল মিয়ার কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি বিদেশী চাকু উদ্ধার করে।

কুখ্যাত ডাকাত সাদ্দাম হোসেন কাজল মিয়ার নামে মৌলভীবাজার মডেল থানাসহ সিলেট জেলার ওসমানীনগর, জৈন্তাপুর, বিশ্বনাথ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানায় ০৬ টি ডাকাতি মামলাসহ খুন, চুরি, ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র আইনের মামলাসহ সর্বমোট ১৩টি মামলা রুজু আছে, যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন ও তদন্তাধীন।

গত ০১/০৩/২০২০ তারিখে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের ছালিক মাষ্টার এর বাড়িতে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে তাতে উক্ত ডাকাত নেতৃত্বে ছিল বলে জানায় পুলিশ। উক্ত ডাকাতি সংঘটনের পর পর পুলিশের বিশেষ অভিযানে পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে মোঃ কামাল হোসেন (বুলু) নামের একজন ডাকাত নিহত হয় এবং অপর দুইজন ডাকাত গ্রেপ্তার হয়। ঘটনাস্থল থেকে সাদ্দাম হোসেন কাজল মিয়া তার সহযোগী ডাকাতদের নিয়ে পালিয়ে যায়। সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় শতভাগ লুন্ঠিত মালামাল সহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি অস্ত্র, গুলি ও সিএনজি উদ্ধার হয়। উক্ত কুখ্যাত ডাকাত শুধু ডাকাতিই করে তা নয় বরং সে নতুন নতুন যুবক ছেলেদেরকে তার দলে যুক্ত করে।

তাদের দুধর্ষ ডাকাতির আতংকে থাকে মৌলভীবাজারসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের বাসিন্দাগণ। তাদের গ্রেফতারের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মৌলভীবাজারের জনসাধারন। এছাড়াও ডাকাত সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ কাজলের সহযোগী অপর একজন ডাকাত সাহেলকে আথানগিরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাহাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছে।

এদের গ্রেফতারের ফলে মৌলভীবাজারে ডাকাতির মতো ঘৃন্য কার্যক্রম অনেকাংশে নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে বলে জানান সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমান।