মুসা আল হাফিজের ‘কালামদর্শন’

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ০৬ ২০২১, ২২:০০

মনোয়ার শামসী সাখাওয়াত

আলেম, কবি, গবেষক, লেখক ও শিক্ষক মুসা আল হাফিজের সর্বসাম্প্রতিক বই ‘কালামদর্শন’ আজ সন্ধ্যায় আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। বইটি হাতে পেয়ে আমার সন্ধ্যাটাই কেমন যেন এক একান্ত দুর্লভ অনুভূতিময় হয়ে উঠল। এত প্রিয় একটি বিষয়ে একজন প্রিয় লেখকের সদ্যপ্রকাশিত তরতাজা লেখা সরাসরি লেখকের কাছ থেকে এতদ্রুত পাওয়ার অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল। একজন জ্ঞানার্থী রচয়িতা কত কষ্ট করে একটা বই লেখেন তার অল্প কিছু হলেও আমি অনুমান করতে পারি। সেই লেখা প্রকাশিত হবার পরে বই আকারে যখন লেখকের কাছে পৌঁছায়, আবার তা যখন তিনি তার অন্তরঙ্গ পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করেন তখন লেখকের মুহূর্তগুলো কেমন অলৌকিক হয়ে ওঠে— তাও খানিকটা অনুমান করতে পারি। আজ সন্ধ্যায় লেখকের কাছ থেকে আসা বইটি হাতে পেয়ে এমনই এক মায়াময় কারিশমার খানিক স্পর্শ যেন আমায় উপহার দিলেন এই প্রতিভাবান, মৃদুভাষী, সজ্জন ও নিমগ্ন লেখক।

সূচিপত্র, অধ্যায়বিন্যাস, প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গের ক্রম ও গ্রন্থনা, প্রতি অধ্যায়ের উৎসমালা, পরিশিষ্ট ইত্যাদি দেখে বইটিকে দারুণ সম্ভাবনাময় একটা বই বলে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত মন্তব্য বইটি সম্পূর্ণ পড়ার পরে বলাটাই সঙ্গত হবে।

বইয়ের মুদ্রণ সৌষ্ঠব, কাগজ, বাঁধাই ইত্যাদি বস্তুগত দিকগুলোও ভাল লাগল। প্রচ্ছদে শিরোনামে যে স্বর্ণালী শোভা তা যেন বইয়ের বিষয়ের স্বর্ণালী মাহাত্ম্যকেই প্রতিফলিত করছে।

বিস্তারিত রিভিউ তো পরে করব ইনশাআল্লাহ। আপাতত এটুকু বলতে চাই যে মুসা আল হাফিজ ইতিপূর্বে ‘সহস্রাব্দের ঋণ’ বইয়ের মাধ্যমে ইসলামে বিজ্ঞানের ইতিহাস ও দর্শনকে যেমন একখন্ডে বাংলা ভাষায় হাজির করেছেন, ‘কালামদর্শন’-এর মাধ্যমে তিনি যেন একইভাবে বাংলা ভাষায় ইসলামের দার্শনিক ধর্মতত্ত্বকে হাজির করলেন। বাংলা ভাষায় এইসব অনন্য ও অভূতপূর্ব কাজের জন্য তিনি মননশীল পাঠকদের কাছে সম্মানীয় ও বরেণ্য হয়ে থাকবেন, নিঃসন্দেহে।

আমি দুয়া করি মুসা আল হাফিজের ‘সহস্রাব্দের ঋণ, ‘শতাব্দীর চিঠি’, দর্শনচূর্ণ ট্রিলজি (‘নক্ষত্রচূর্ণ’, ‘বিষগোলাপের বন’ ও ‘হৃদয়াস্ত্র’) ও সদ্যপ্রকাশিত ‘কালামদর্শন’ সহ অন্যান্য বইগুলি নিষ্ঠাবান পাঠকদের সমাদর লাভ করুক। মহান রাব্বুল আলামীন যেন তার এই সৃজনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক মেহনত ও খেদমত কবুল করে নেন। আমীন!