মুনতাহা হত্যা নিয়ে জানা গেল যা
একুশে জার্নাল
নভেম্বর ১০ ২০২৪, ১২:৪৮
ইলিয়াস সারোয়ার:
গত ৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ মুনতাহা আর বেঁচে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! পাশের ঘরের অভিযুক্ত মারজিয়া মুনতাহাকে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পুঁতে রাখে। গত রাত তিনটায় মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের (৭০) কন্যা মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) হত্যা করে কাপড়ে পেচিয়ে খাটের নিচে রেখে দিয়েছিল তারই সাবেক প্রাইভেট টিউটর মারজিয়া। বিভিন্ন সন্দেহজনক আচরণের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে মারজিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মারজিয়ার মা আলিফজান বিবি লাশ পুকুরে ফেলে দিতে গেলে পুকুরের মালিক আ. হাইয়ের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে তাকেও গ্রেফতার করে নিয়ে যায় কানাইঘাট থানা পুলিশ।
তবে মারজিয়ার মা এক ভিডিও জবানবন্দিতে বলেন, মুনতাহাসহ কাকে যেন সে দেখেছে। সে তাদেরকে আটকাতে চেয়েছিল। কিন্তু মুনতাহার মুক্তির বিনিময়ে মহিলাটির কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। মহিলাটি দিতে না পারায় তারা বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায় এবং রাত্রে নিয়ে আসে এবং মুনতাহাকে মেরে পুঁতে ফেলে। সে এই ঘটনা দেখেছে এবং সে ফেঁসে যাবে বলে মুনতাহার লাশ এখান থেকে তুলে পুকুরে ফেলে দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে।
অভিযুক্ত মার্জার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানাচ্ছেন। মার্জিয়ার মা ভিক্ষুক হলেও সে একসাথে দুই / তিনটি ফোন ব্যবহার করে। তার অনেকগুলো সিম সবসময় একটিভ থাকে। তিন/চারটি প্রেমের সাথে সবসময় নিজেকে জড়িয়ে রাখে হলেও জানান তারা।
তবে মুনতাহার আসল খুনি কে? এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি পুলিশ। তদন্তের পরই সব জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা।