মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, কারণ জানেন না নিজেরাই
একুশে জার্নাল ডটকম
জুলাই ১২ ২০২৩, ১৩:১৮
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে সাধারণ ছাত্রীদের সঙ্গে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেত্রী ও কর্মীরাও। তবে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই জানেন না কী কারণে তারা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন।
কী কারণে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আই ডোন্ট নো’। তিনি আরও বলেন, কর্মসূচিতে নিয়ে এসেছে, তাই এসেছেন। ছাত্রলীগ ডেকে নিয়ে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ করলে তো প্রোগ্রাম করতেই হবে। স্বেচ্ছায় এসেছি; সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সবাই একসঙ্গেই এসেছি।’
আরেক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ, এখন বলতে পারব না।’ অন্যজন হেসে দিয়ে বলেন, ‘কোনও দিকে নাই।’
‘ইন্টারেস্টেড না’ বলে এড়িয়ে যান আরেক ছাত্রী। মানববন্ধনে দাঁড়ানো আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করা হলে তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
ঢাকার চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের ‘কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি বলেন, ঢাকার হিট অফিসারকে নিয়ে মির্জা ফখরুল যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন; তা নিছক তার একক বক্তব্য নয়। এটি তার দলের দৈন্য, দলের নেতাকর্মীদের নিচু মানসিকতা ও নারীদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিচ্ছবি। তিনি যেই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, তার জন্য তিনি যেন নারী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে নারী সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা যখন চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করছে, যখন গোটা বিশ্ব তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ঠিক তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কীভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা বলেন, ‘আমরা বৈরী পরিবেশে নারী শিক্ষার্থীরা একত্র হয়েছি। আমরা কোনো বৈরী পরিবেশ চাই না। বাংলাদেশে যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী; সেখানে এ রকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আমরা শুনতে বা মানতে চাই না।’
কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান মানববন্ধনের বক্তারা। এ সময় মির্জা ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।
গত ৮ জুলাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদেশ থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসে সিটি করপোরেশনে চাকরি দেয়, চাকরিটার নাম হিট অফিসার। আমরা তো এখন হিটেড হয়ে গেলাম।’