মাস্ক পরা নিশ্চিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ১০ ২০২০, ১৮:২৫

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১০ আগস্ট) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা নিয়ে আজ সাধারণ আলোচনা হয়েছে যে মানুষকে অন্তত সচেতন থাকতে হবে। অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা একটু কমে গেছে। সেটা আরও বাড়াতে হবে। ওয়ান অব দ্য প্রিভেন্টিং আসপেক্ট অব করোনা হ্যান্ডেলিং হলো তার একটা প্রিভেন্টিভ অ্যাকশনে থাকা। এগুলো ক্যাম্পেইনে নিয়ে আসা ও যথা সম্ভব যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করা যায়। এগুলো নিয়ে কালও সচিব কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছি এবং মাঠ প্রশাসনকেও বলে দিয়েছি যে, এনফোর্সমেন্টও যেতে হবে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও ম্যাসিভ প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। ফিজিক্যালি মাঠে গিয়ে মাইক দিয়ে, বিলবোর্ড দিয়ে- যাতে মানুষ আর একটু সতর্ক হয়। কারণ, মানুষ যদি প্রটেকশনে না যায় তাহলে, এর মেইন অ্যাসপেক্ট হলো কমিউনিটি। সে ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। রেডিও, টেলিভিশন সব জায়গায় প্রচার, তথ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সচিব কমিটির মিটিংয়ে খুব স্ট্রংলি রিকমেন্ড করেছি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একেবারে ম্যাসিভ কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করার ক্ষেত্রে যদি পানিশমেন্ট দেওয়া হয়, এই জিনিসটা প্রচার করার জন্য, যে আজ মাস্ক না পরার জন্য বা সেফটি মেজর না নেওয়ার জন্য এতোগুলো লোককে বাসে বা বাজারে বা লঞ্চে পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পকেটে থাকে, কিন্তু মানুষ পরে না।

পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন (অনুমান) আছে যে, আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পর্টিকুলারলি (নির্দিষ্টভাবে) এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন, প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে একটা লং টার্ম (দীর্ঘমেয়াদি) বন্যা এই যে পানিটা যাচ্ছে এটাও ১৮-২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮-২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে। যেটা প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে এটা প্রিভেইল (দীর্ঘ মেয়াদে থাকার) করার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে।