মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর টমটম চালক আউয়াল হত্যা মামলায় ৩ খুনী আটক

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ৩০ ২০২০, ০৪:৩৪

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক আব্দুল আউয়াল হত্যা মামলায় মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ৩ হত্যাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৯ মার্চ) তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মো:জুবায়েদ মিয়া (১৬) মো:মোশারফ মিয়া (১৭) ও মো:সজীব মিয়া (১৭) নামে তিন হত্যাকারীকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।পরে আটককৃতরা হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:নূরুল হুদা চৌধুরীর নিকট হত্যাকাণ্ডের সাথে ৭ জন ও পরে টমটম বেচাকেনার সাথে আরো ২জন জরিত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আটককৃত মো:জুবায়ের মিয়া মাধবপুর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের মৃত ফুরুক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে একই উপজেলার সন্তুষপুর এলাকায় বসবাস করে। মো:মোশাররফ আলী মাধবপুর উপজেলার বেলঘর গ্রামের আদম আলীর ছেলে। মো:সজীব মিয়া একই এলাকার নাসির মিয়ার ছেলে। তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, গত ১৭ মার্চ একটি সংঘবদ্ধ ইজিবাইক চুর চক্র আব্দুল আউয়াল (২০)কে চা বগানে বেধে রেখে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করবে বলে পরিকল্পনা করে।

পরদিন ১৮ মার্চ তারা চা বাগানে ঘুরতে যাবে বলে ভাড়া করে আব্দুল আউয়ালকে নিয়ে যায়। চা বাগানের ভেতরে গিয়ে আব্দুল আউয়ালকে বেধে ফেলার পরে তারা বুঝতে পারে সে তাদের চিনে ফেলেছে। ফলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ চা বাগানে ফেলে ইজিবাইকটি নিয়ে যায়।

এসময় হত্যাকারীরা তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে আটক করে। আটকের পর তারা হত্যাকাণ্ডে জরিত থাকার কথা স্বীকার করে এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো নূরুল হুদা চৌধুরী এর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরও ৪ জন এবং বেচাকেনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।