মাধবপুরে কিস্তি আদায়ের জন্য সদস্যদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে এনজিওকর্মীরা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ০১ ২০২০, ২২:২০

কাউসার আহমদ, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গতকাল রোববার (৩১ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে অফিস-আদালত। ঘরবন্দি লোকজনও নেমেছেন কাজে। এ পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবে না- সরকারের এমন নির্দেশনা ছিল। কিন্তু অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার প্রথম দিন থেকেই কিস্তি আদায়ের জন্য বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করে এনজিওগুলোর কর্মীরা।

সারা দেশের মতো মাধবপুরের মানুষও করোনা ভাইরাসের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার ৩১মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস আলাদত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলে প্রথম দিন থেকেই এনজিও গুলো মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে কিস্তির জন্য।

৩০জুন পর্যন্ত কিস্তি না আদায় করতে রেগুলেটরি অথরিটির নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায়ে করার জন্য ঋণগ্রহিতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে এনজিও কর্মীরা।

প্রায় দুই মাস আয় রোজগার না থাকায় কেটে খাওয়া মানুষগুলো পরিবারের বরণ পোষণ , বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি নিয়ে বিপাকে আছে।অন্য দিকে ব্যবসায়ীরা প্রায় দুই মাস পরে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে। তাদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল, দোকান ভাড়া, সাংসারিক খরচ ইত্যাদি নিয়ে খুব চাপে আছে। এমতাবস্থায় এখন কিস্তি দেওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব।

একাধিক ঋণগ্রহিতা আমাদের জানান, লক ডাউনের কারণে আমাদের ঘরে খাবার নেই কিন্তু কিস্তি দেওয়ার জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করছে এনজিও কর্মীরা। এনজিও গুলি যাতে এখন কিস্তি আদায় না করতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেন তারা।