মাদ্রাসাতুন নুর লন্ডনের উদ্যোগে হযরত ঈসা (আঃ)এর জীবন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২৬ ২০১৮, ১৯:৪৩

একুশে জার্নাল লন্ডন: গত ২৩ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৫টা থেকে মাদ্রাসাতুন নুর লন্ডনের উদ্যোগে ৭৮৭ হাই রোড, সেবেন কিংস এ মাদরাসাতুন নুর লন্ডনের মেইন হলে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর জীবনের উপর এক গুরুত্বপূর্ণ
সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।এতে বৃটেনের প্রখ্যাত উলামা মাশায়েখ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। হযরত ঈসা (আঃ)এর জীবন শীর্ষক সেমিনার এ বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন ব্রিটেনের স্বনামধন্য আলেম মাওলানা শায়খ আসগর হুসাইন,শায়খ মুফতি আব্দুর রহমান বিন ইউসুফ, শায়খ মুফতি আব্দুল মুনতাকিম ও শায়খ কাজী লুৎফুর রহমান ।মাদীনাতুন নুর এর চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ এর সভাপতিত্বে ও মাদীনাতুন নুর এর ট্রাস্টী মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ এর পরিচালনায় সেমিনারে উল্লেখ যুগ্য যারা অংশগ্রহণ করেন-আলহাজ্ব শামছুজ্বামান চৌধুরী,হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথী,আবু তাহের চৌধুরী,জুবায়ের আহমদ চৌধুরী,মাওলানা হিফজুল করিম মাশুক,জুনেদ আহমদ চৌধুরী, হাফিজ মিফতাহ,ফুজেল আহমদ চৌধুরী ।সেমিনারের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা মুশতাক এবং আলোচনা পেশ করেন মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ।মাদ্রাসাতুন নুরের পক্ষ থেকে উপস্তিত সকলের
শুকরিয়া আদায় করেন এবং মাদ্রাসাতুন নুরের নিয়মিত জুমআ এবং উইকডে-উইকেন্ড মাকতাবের কার্যক্রম তুলে ধরেন মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ।মাওলানা শায়খ আসগর হুসাইন এর দোয়ার মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি হয়।
সেমিনারে আলোচক গণ বলেন হযরত মারিয়াম (আঃ) ছিলেন বিশ্ব নারী সমাজের শীর্ষস্থানীয়া এবং আল্লাহর মনোনীত ও পবিত্র ব্যক্তিত্ব।
মারিয়াম (আঃ) আল্লাহর ঘর বায়তুল মুক্বাদ্দাসের খিদমতে রত ছিলেন এবং তাকে আল্লাহর পক্ষ হ’তে বিশেষ ফল-ফলাদির মাধ্যমে খাদ্য পরিবেশন করা হ’ত ।
মারিয়ামের (আঃ) গর্ভধারণ ও ঈসার জন্মগ্রহণ ছিল সম্পূর্ণরূপে অলৌকিক ঘটনা। আল্লাহ পাক নিয়মের স্রষ্টা এবং তিনিই নিয়মের ভঙ্গকারী। তাকে কোন বিষয়ে বাধ্য করার মত কেউ নেই। তিনি পিতা-মাতা ছাড়াই আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর পিতা ছাড়াই শুধু মাতার মাধ্যমে ঈসাকে (আঃ) সৃষ্টি করেছেন। তিনি যা খুশী তাই করতে পারেন।
সেমিনারে সম্মানিত আলোচক গণ মুল আলোচনায় আরো বলেন ঈসা (আঃ) কোন উপাস্য ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন অন্যদের মত আল্লাহর একজন দাস মাত্র এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন সম্মানিত নবী ও কিতাবধারী রাসূল।
ঈসা (আঃ) যে বিনা বাপে পয়দা হয়েছিলেন, তার অন্যতম প্রমাণ এই যে, কুরআনের সর্বত্র তাঁকে ‘মারিয়াম-পুত্র’ বলা হয়েছে।
তাঁর মো‘জেযা সমূহের মধ্যে ছিল- তিনি মাটির তৈরী পাখিতে ফুঁক দিলেই তা জীবন্ত হয়ে উড়ে যেত, তিনি জন্মান্ধকে চক্ষুষ্মান ও কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে পারতেন, তিনি মৃতকে জীবিত করতে পারতেন এবং তিনি বলে দিতে পারতেন মানুষ বাড়ী থেকে যা খেয়ে আসে এবং যা সে ঘরে সঞ্চিত রেখে আসে।
হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর কিতাব ইনজীল প্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং তিনি ইহুদী চক্রান্তের শিকার হয়ে সরকারী নির্যাতনের সম্মুখীন হন। ফলে আল্লাহ তাঁকে সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নেন। শত্রুরা তাঁরই মত আরেকজনকে সন্দেহ বশে শূলে চড়িয়ে হত্যা করে এবং তারা নিশ্চিতভাবেই ঈসাকে হত্যা করেনি’।তিনিই একমাত্র নবী, যাকে আল্লাহ জীবিত অবস্থায় দুনিয়া থেকে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন এবং ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে তিনি পুনরায় সশরীরে দুনিয়াতে অবতরণ করবেন এবং দাজ্জাল, ক্রুশ, শূকর প্রভৃতি ধ্বংস করবেন। অতঃপর ঈসা (আঃ)ও ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে সারা পৃথিবীতে ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী শান্তির রাজ্য কায়েম হবে ।

সৈয়দ নাঈম
লন্ডন