মাজেদের লাশ সোনারগাঁ থেকে অপসারণ না করলে মেঘনায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ১২ ২০২০, ১৯:৩৩

আজ ১২ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকেই সোনারগাঁ উপজেলা জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ক্ষোভে ফুঁসছে সোনারগাঁ উপজেলাসহ পুরো নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। লোকজনকে সম্ভূপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনেও বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি রিয়াজুল হক টিটু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনির লাশ কিভাবে সোনারগাঁওয়ে দাফন হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। যে কোন মূল্যে তার লাশ প্রশাসনের মাধ্যমে অপসারণ চাই।

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান কালাম এক ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাজেদের লাশ সোনারগাঁওয়ের মাটিতে দাফন করা আমাদের সোনারগাঁওবাসীর জন্য শুধু লজ্জা নয়, এ লজ্জা পুরো নারায়ণগঞ্জবাসীর।

নারায়ণগঞ্জের আরো একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আওয়ামী লীগের জন্মস্থান যে জেলায় সেই জেলায় মাজেদের লাশ দাফন মেনে নেয়া যায় না।

সোনারগাঁওয়ের সম্ভূপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ রউফ বলেন, সকাল থেকেই এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রদর্শন করছে এবং মরদেহ অপসারণের দাবি জানাচ্ছে। তারা বলছে, প্রশাসনের সহায়তায় লাশ দাফন করা হয়েছে। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা লাশ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেব।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার ৪৪ বছর ৭ মাস ২৬ দিন পর আত্মস্বীকৃত খুনি আঃ মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ১২/৪/২০ রোজ রবিবার রাত ১২:০১ মিনিটে। তার লাশ দাফনের জন্য নিজ জেলা ভোলায় দাফনের কথা থাকলেও স্থানীয় এমপি শাওনের বাঁধার মুখে তা থমকে যায়। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে শাওন বলেন, ভোলার মাটি মাজেদকে গ্রহন করবে না। প্রয়োজনে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়া হবে। পরে তার পারিবারিক সিদ্ধান্তে প্রশাসনের সহায়তায় মাজেদের শশুর বাড়ি এলাকা সোনারগাঁওয়ের সম্ভূপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, রায় মতে দণ্ডিত আসামি ১২ জনের মধ্যে একজন দণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে মারা যায়। ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে এবং পলাতক রয়েছে আরো ৫ জন।