মাওলানা ভাসানী মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন
একুশে জার্নাল
নভেম্বর ১৮ ২০১৮, ১২:০২
কাজী শহিদুল্লাহ ওয়াহিদ চট্রগ্রাম: এশিয়া-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকা নির্যাতিত মানুষের সংগ্রামী নেতা, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়কস্থ ব্যারিস্টার সলিমুল হক খান মিল্কীস্মৃতি মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানী অনুসারী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সদস্য সচিব, প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রবীণ সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
আলোচনায় অংশ নেন- অধ্যক্ষ মুছা শিকদার, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, কবি আবদুল হাকিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, শহিদুল ইসলাম বাদল, মো: কামাল উদ্দিন, মহিউদ্দিন বকুল, সিরাজদোল্লা চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন হায়দার, কাশেম শরিফ, আলী আকবর, কে.এম. নুহ হোসাইন, আবদুল্লাহ আল হামিদ, মো: রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন- মাওলানা ভাসানী অত্যাচার-নির্যাতন-জুলুম ও জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি অধিকারহারা মানুষকে সংগঠিত করে অধিকার আদায় করেছিলেন। মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। বহু তরুণকে যথাযথ দীক্ষা দিয়ে জাতীয় নেতা বানিয়েছেন। তিনি আগাগোড়াই গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের জন্য সংগ্রামী ভূমিকা পালন করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে সারা ভারতবর্ষের মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মাওলানা ভাসানী ছাড়া ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কোনোদিনই লেখা যাবে না। তিনি আরো বলেন, ইতিহাস শিক্ষনীয় হয়, ইতিহাস হস্তক্ষেপের বিষয় নয়। ইতিহাসে হস্তক্ষেপ ও ইতিহাস বিকৃতি খেয়ানতের শামিল।
আলোচনা সভার পূর্বে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় এক দোয়া মাহফিলও অনুষ্ঠিত হয়।