মহানবীর (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে কোনাবাড়ি উলামা পরিষদের মহাসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
একুশে জার্নাল
অক্টোবর ৩০ ২০২০, ১৯:৫২
সম্প্রতি ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাসূলুল্লাহ সা. -এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে কোনাবাড়ি উলামা পরিষদের উদ্যোগে কোনাবাড়ি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে লক্ষ মুসলিমের অংশগ্রহণে এক মহা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
৩০ অক্টোবর ২০২০, জুমার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় গণজমায়েত। আশেপাশের প্রায় শতাধিক মসজিদ থেকে মিছিল সহকারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন সমাবেশে।
উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক মুফতী আবদুল কাদের ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবদুস্সালামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন : সাধারণ সম্পাদক মুফতী ফরিদ উদ্দীন রাহমানী, সহ-সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা ইউসুফ, মুফতী আলমগীর, মুফতী বিলাল ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ০৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব নাসির উদ্দীন মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা প্রায় অভিন্ন সুরে সকলেই ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) -এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানান। ফ্রান্সের দূতাবাস অপসারণ, ফ্রান্সের পণ্য বর্জন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদের দাবি জানান সব বক্তা।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) পৃথীবির সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদে ফ্রান্সের ‘শার্লি হেব্দো’ পত্রিকা যে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে তা ফ্রান্সের সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের দিকে উষ্কানীমূলক কর্মকাণ্ডের শামিল। সুতরাং এই ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার করতে হবে। নচেৎ সব মুমলিম দেশ থেকে ফ্রান্সের সকল দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে, পৃথীবির সব মুসলিম দেশ ফ্রান্সের সাথে বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে এবং সারা দুনিয়ায় ফ্রান্সকে কার্যত অবাঞ্ছিত করে রাখা হবে ইন শা আল্লাহ”।
সামাবেশ শেষে লক্ষ মুসলিমের এই জমায়েত কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ থেকে কোনাবাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ পর্যন্ত মিছিল সহযোগে প্রদক্ষিণ করে। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সংখ্যা এত ব্যাপক-আকার ধারণ করে যে, মিছিলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত নজরেই আসছিল না! বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কোনাবাড়ির প্রধান প্রধান সব সড়ক, জনপথ ও রাস্তাঘাট।
অতঃপর মিছিল শেষে কোনাবাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে সকলে জড়ো হয়ে দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।