ভারতের বিতর্কিত নাগরিক তালিকা ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। কেবল তাই নয়, এ নিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে যে অব্যাহত বিক্ষোভ চলছে সেগুলোর প্রতিও সমর্থন দেন তৃণমূল নেত্রী।

তবে সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোটের কথা বলে বিপদে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বিজেপিপন্থীরা তার এই বক্তব্যকে দেশবিরোধী বলে দাবি করে তার পদত্যাগ চাইছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণের দাবি জানিয়ে মামলা ঠুকেছেন এক সাংবাদিক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্তের দাবিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সোমবার একটি মামলা দায়ের করেছেন দক্ষিণ বিজেপিপন্থী ওই ভারতীয় সাংবাদিক ভারাকি।

মামলার আর্জিতে ওই সাংবাদিক বলেন, মমতা দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করেন না। যে শপথ নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন, তিনি সেই শপথবাক্য রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের মর্যাদা নষ্ট ও সংবিধানবিরোধী কাজ করে চলেছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতার অপসারণের নির্দেশ চেয়েছেন ওই সাংবাদিক।

গত ১৯ ডিসেম্বরে এক জনসভায় মমতা মোদি সরকারকে বলেছিলেন, ‘সাহস থাকলে তারা জাতিসংঘের তদারকিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোট করে দেখাক। এই ভোটে যদি শাসকদল হেরে যায় তবে বিজেপি সরকার থেকে সরে যাক।

শুধু তাই নয়, সেদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রেখেছিলেন। তাদেরকে লক্ষ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই আপনারা যা খুশি করতে পারেন না।’

পরে অবশ্য জাতিসংঘের তদারকিতে গণভোটের বক্তব্য থেকে সরে আসেন মমতা। তিনি বলেন, ‘গণভোট নয়, কেবল জনমত জরিপের কথা বলেছিলাম।’