ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিলগালাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাতেই তালা ভাঙ্গা; প্রশাসন নীরব
একুশে জার্নাল
মার্চ ১৬ ২০২০, ১০:০০

এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন, রংপুর: রংপুর পীরগঞ্জে মোহনা প্যাথলজিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালা করার রাতেই সিলগালা ভেঙ্গে তালা খুললো প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু। এটি কতটা আইন সম্মত এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
২০ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযান চলে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়,যথাসময়ে লাইসেন্সের মুলকপি দেখাতে না পারায় সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এদিকে কোন কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও জেনারেল হাসপাতালের মাত্র ১ হাজার টাকা জরিমানা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মোহনা প্যাথলজি, জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার,মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডক্টরস পয়েন্ট তাৎক্ষণিক বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
ওই সময় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে মোহনা প্যাথলজিকে সিলগালা করলেও রহস্যজনক কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পর তারা আইন কে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে আবারও প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা চালিয়ে যায়।
এদিকে মোহনা প্যাথলজির মালিক বৃহষ্পতিবার রাতেই নিজে সিলগালা করা তালা খুলে ফেলে অদৃশ্য ক্ষমতা বলে। এ বিষয়ে মোহনার মালিক মিঠু মিয়া জানান,ইউএনও এর অনুমতিতে সে নিজে তালা খুলেছে।
এ বিষয়ে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিন বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুহুল আমিন বুলেট কে দায়িত্ব দিলে তিনি তালা খোলার নির্দেশ দেন। এদিকে বিষয়ে ডাঃ রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করে বিধি সম্মতভাবে সিলগালা করা তালা খোলা হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,যে প্রক্রিয়ায় সিলগালাকৃত প্রতিষ্ঠানের তালা খোলা হয় এক্ষেত্রে সেটি মানা হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু মিয়া রাত ৯টার দিকে তার সাথে সাক্ষাৎ করলে ইউএনও সাহেবের নির্দেশ মত তিনি তালা খোলার নির্দেশ দেন। সারাদিনের নানা ব্যস্ততার কারণে তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেন নি। তিনি আরো বলেন এটি ঠিক হয়নি। পরে তিনি তার এ বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক তার কাছে আসার আগেই নিজে তালা ভেঙ্গে আদালত অবমাননা করেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে একক ভাবে তালা খোলার নির্দেশ দিয়ে মেয়াদ উর্ত্তীণ রিয়েজেন্টসহ অবৈধ কোন কিছু সরিয়ে ফেলার সুযোগ করে দিয়ে আইন লংঘন করা হয়নি কি? তাহলে এর প্রতিকার কি এমন প্রশ্নের জবাবে ডাঃ রুহুল আমিন জানান ইউএনও এর সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন-রংপুর ডাঃ হিরম্ব কুমার রায় এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,বিয়য়টি গুরুত্বসহ দেখা হবে। এদিকে প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলে ডাঃ ওবায়দুল আলম এবং ডাঃ খাদিজা পারভীন লিমার যোহসাজশে ওই প্রতিষ্ঠানে মালিক মিঠু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইউএনও টিএমএ মমিন রহস্যজনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছে বলে দাবী করেন এলাকাবাসী।তবে এ বিষয়ে ১৫মার্চ২০২০ তারিখ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি রংপুরের জেলা প্রশাসক।