ভোলায় বাড়ছে করোনা প্রকোপ; মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ শতাধিক
একুশে জার্নাল ডটকম
জুলাই ০২ ২০২০, ১৯:২০

আবদুল হান্নান, ভোলা জেলা প্রতিনিধি;
ভোলা শহরে সরকারী সময় মেনে দোকানপাট, ব্যবসা কেন্দ্র ও অফিস খোলা হয়েছে। মানুষও ঘর থেকে বেরিয়েছে। এরই মধ্যে ভোলা করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যাও ৩’শত ছড়িয়েছে।
বিশেষ করে ভোলা সদরে অত্যধিক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
দ্বীপ জেলা ভোলায় করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০২ জনে। যার মধ্যে ১২৪ জন ইতিমধ্যেই সুুস্থ হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২জুলাই) সকালে ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮ জন, দৌলতখানে ২ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩ জন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ২ জন রয়েছে।
ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় করোনা আক্রান্ত ৩০২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২৪ জন। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ১৪১ জনের মধ্যে সুস্থ ৫২ জন। দৌলতখানে আক্রান্ত ২৫ জনের মধ্যে সুস্থ ২১ জন। বোরহানউদ্দিনে আক্রান্ত ৩৭ জনের মধ্যে সুস্থ ৪ জন। লালমোহনে আক্রান্ত ৩১ জনের মধ্যে সুস্থ ১৬ জন। চরফ্যাশনে আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে সুস্থ ২১, মনপুরা উপজেলায় আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে সুস্থ ৯ এবং তজুমদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন ভোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আছে। বাকিরা নিজ নিজ উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্বাবধানে হোম আইসোলেশনে আছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে উপসর্গ নিয়ে আরো অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোলায় মোট আক্রান্ত ৩০২ জনের মধ্যে জেলা জজ ও তার স্ত্রী, চরফ্যাশন ও দৌলতখান উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ৯ জন চিকিৎসক, ২২ স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১১ সদস্য, ৮ জন কোস্টগার্ড সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা ১৩ জন ও ১৫ জন শিক্ষক রয়েছে। এছাড়া চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কর্যালয়ের এক জন, সিভিল সার্জন কর্যালয়ে দুই জন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জন ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালকসহ দুই জন রয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন কার্যালয় এর সূত্রে জানা যায় এখন পর্যন্ত ভোলা জেলায় ৩৭৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা ও বরিশাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রির্পোট এসেছে ৩৩৫৫ জনের। তার মধ্যে ৩০৫২ জনের রির্পোট নেগেটিভ এবং ৩০২ জনের পজেটিভ। এছাড়া ২২৭ জনের রির্পোট এখনো আসেনি।