ভোলায় মেঘনার জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ০৬ ২০২০, ১৩:৫৪

এবি হান্নান, ভোলা জেলা প্রতিনিধি: সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনায় অতিরিক্ত জোয়ারে ভোলার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার অধিবাসী পানিবন্দী রয়েছে।

পাউবো তথ্যমতে জানা যায়, মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে ভোলার উপকূল জুড়ে থেমে থেমে বাতাস ও ঝড়ো বৃষ্টি বইছে।

গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জোয়ারে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা,রাজাপুর,ধনিয়া, তুলাতুলি বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়।

এতে দেখা যায় মেঘনার উত্তাপ ঢেউয়ে আছড়ে পড়ে ইলিশা ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট,দোকানপাটসহ জোয়ারে ভেসে যায়।এতে পানিতে তলিয়ে যায় ওই এলাকা। আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

মেঘনার প্রবল জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার শহর রক্ষা বাঁধ।ধনিয়া তুলাতুলির বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙন। বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়রা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এদিকে অতি জোয়ারের পানিতে ভোলার তিন উপজেলার চরাঞ্চল ও বেড়ি বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বেড়ি বাঁধ) ওপর দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছে। এতে করে পাউবোর বাঁধের কয়েকটি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়াও মনপুরা উপজেলায় হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর ও দৌলতখান উপজেলার মধ্য মেঘনার বুকের ইউনিয়ন মদনপুরে প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে করে ভোলা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে আছেন।

ভোলার বাসিন্দারা জানান, বুধবার দুপুরের পর থেকে ভোলার মেঘনার পানির চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি, তুলাতুলি, কালিকীর্ত্তি, ইলিশা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিকান্দি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাজিকান্দি, রাজাপুর জোড়খাল এলাকা দিয়ে অতি জোয়ারের পানি বেড়ি বাঁধের ওপর দিয়ে উপচে পড়ে।

ভোলা শহর রক্ষা বাঁধসহ ভোলাবাসী চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।