ভোট দিতে আসেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের ; ভোটারদের প্রতি সিইসি
একুশে জার্নাল ডটকম
ডিসেম্বর ২২ ২০১৯, ২২:১০
ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে সবাইকে ভোট দিতে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ভোট দিতে আসেন। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমরা নেব।’
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৫৭তম কমিশন সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। এ সময় তিনি সকল ভোটারকে ভোট দিতে আসার জন্য আহ্বান জানান।
উত্তর ও দক্ষিণের মেয়ররা পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবে কি না, জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, ‘মেয়ররা পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন না। তাদেরকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে।’
নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাদের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন দেয়ায় তারা আদালতে যাবেন। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো জটিলতায় নির্বাচন আটকে যেতে পারে কি না?
জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন আটকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ব্যক্তি কখন নির্বাচিত হলেন, না-হলেন সে বিষয়ে আইনে কিছু বলা নাই। সিটি করপোরেশনের মেয়াদ কতদিন সেটা নির্ধারিত থাকে এ আইনে। পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকে। মেয়র বা কাউন্সিলর কখন নির্বাচিত হলেন, সেটা মুখ্য বিষয় না।’
যখন কোনো ভোট আসে, তখন কিছু পক্ষ বলা শুরু করে দেয় যে, নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে জেতাবার জন্য কাজ করছে। সিটি নির্বাচনের ভোট বিতর্কমুক্ত করার জন্য কী উদ্যোগ থাকছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নূরুল হুদা বলেন, ‘এটা কোনো কথা হইল! নির্বাচন কমিশন কি একটা রাজনৈতিক দলকে জেতাবার জন্য কাজ করে? নির্বাচন সকলের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। এরকম চিন্তা করার অবকাশই নেই।’
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে না বলেও জানান তিনি। সিইসি বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েন বিবেচনার সুযোগ নেই। নতুন ভোটাররা এ সিটি নির্বাচন ভোট দিতে পারবেন না।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।